দিন তিনেক আগেও পাকিস্তান দল ছিল ‘জিরো’। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে ১২৪ রানে হেরে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হয়েছিলেন সরফরাজ-হাফিজ-মালিকরা। তিন দিনের ব্যবধানে পাকিস্তান বনে গেল ‘হিরো’। বৃহস্পতিবার বিশ্বের এক নম্বর দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে বৃষ্টি আইনে ১৯ রানে পরাজিত করেছে এশিয়ান পরাশক্তি।
Advertisement
হঠাৎ পাকিস্তান দলের বদলে যাওয়ার রহস্য কি? ভক্তদের মাঝে বিরাজ করছে এমন প্রশ্নই। যেভাবে বদলে গেল পাকিস্তান, তার রহস্য জানালেন দলটির অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। ‘ঘরের মাঠের’ দর্শকের সামনে খেলে ফিল্ডিংটা ভালো হয়েছে হাসান আলি-ইমাদ ওয়াসিমদের!
ইংল্যান্ড তো আর পাকিস্তানের ঘরের মাঠ না। তবে বার্মিংহামের এজবাস্টনে গত ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে পাকিস্তানের দর্শক ছিল অনেক বেশি। যে কারণে সরফরাজ বুঝাতে চেয়েছেন যে, ঘরের মাঠের মতোই দর্শকের সমর্থন পেয়েছেন তারা। তা তাদের ভালো খেলতে করেছে উজ্জীবিত।
২০০৯ সাল থেকে পাকিস্তানের মাটিতে বড় কোনো দল খেলতে যায়নি। ঘরের মাঠে খেলাটা মিস করছেন সরফরাজ। সেই আক্ষেপই ঝরল তার কণ্ঠে, ‘পাকিস্তানের মাঠে খেলার অনুভূতিটাই মিস করছি। ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলাটা আবার ভিন্ন অনুভূতির। আমাদের দর্শকই বেশি ছিল। তাদের সমর্থন পেয়েছি। যে কারণে ছেলেরা ভালো খেলতে দারুণ উজ্জীবিত হয়েছে।’
Advertisement
বাঁচা-মরার ম্যাচে আটঘাট বেঁধেই নেমেছিল পাকিস্তান। নিজেদের ভুলের জায়গাগুলো শুধরে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন সরফরাজরা। পেরেছেনও। দুর্দান্ত বোলিং আর ফিল্ডিংয়ের কারণেই নম্বর ওয়ান দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২১৯ রানে অলআউট করতে পেরেছে পাকিস্তান।
ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে সরফরাজ বলেন, ‘আমি মনে করি, আজকের ম্যাচে (প্রোটিয়াদের বিপক্ষে) আমাদের বোলিং ও ফিল্ডিং ভালো হয়েছে। মোহাম্মদ হাফিজ ও ইমাদ ওয়াসিম দারুণ বোলিং করেছে। যা আমাদের ওপর থেকে চাপ কমিয়েছে। দ্রুত উইকেট তুলে নেয়ার চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।’
ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে কোচ মিকি আর্থারকে কৃতিত্ব দিলেন সরফরাজ। কৃতিত্ব দিয়েছেন গোটা টিম ম্যানেজমেন্টকেও। সরফরাজের ভাষায়, ‘দলে আত্মবিশ্বাস ফিরিতে আনতে মিকি আর্থার আমাদের সাহায্য করেছেন। টিম ম্যানেজমেন্টের পূর্ণ সমর্থন ছিল। যে কারণে আমরা ভালো একটি ম্যাচ উপহার দিতে সক্ষম হয়েছি।’
এনইউ/জেআইএম
Advertisement