স্বাস্থ্য

স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিট স্থাপনে গুরুত্বারোপ

নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য রক্ষায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিট (স্ক্যানু) স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ প্রকাশিত ‘বিকশিত শিশু সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ শিশু বাজেট ২০১৭-১৮ এ পরিকল্পনার কথা জানানো হয়।

Advertisement

ইতোমধ্যেই দেশের ৩৮ জেলায় ৪২টি স্ক্যানু স্থাপন করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে আরও ১৩টি নতুন স্ক্যানু স্থাপন প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া স্ক্যানু সেবা কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে সব জেলায় সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে পাঁচ বছরের নিচে শিশু মৃত্যু হ্রাসে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। এরপরও নবজাতকের মৃত্যুহার পাঁচ বছরের নিচে মোট শিশু মৃত্যুর শতকরা ৬০ ভাগ। জনসংখ্যা ও স্বাস্থ্য জরিপ (২০১১) অনুযায়ী নবজাতকের মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ৩২ জন এবং অধিকাংশ মৃত্যুর কারণ গর্ভকালীন শ্বাসরোধ (২১ শতাংশ), পচন (২৪ শতাংশ) এবং অপরিপক্ব/কম ওজনের জন্মগ্রহণকারী নবজাতক (১১ শতাংশ), যার অধিকাংশই প্রতিরোধযোগ্য। বিভিন্ন গবেষণা থেকে প্রমাণিত হয়েছে উচ্চমানের শিশু যত্ন এ ধরনের মৃত্যু এড়াতে সহায়তা করে।

জেলা ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চালুকৃত স্ক্যানু গুরুতর অসুস্থ নবজাতকের চিকিৎসায় একটি কার্যকর মডেল। স্ক্যানুতে শ্বাসরোধ আক্রান্ত নবজাতকদের রিসাসিটেশন সেবাসহ অন্যান্য জন্মকালীন সেবা, অপরিণত ও কম ওজনে জন্মগ্রহণকারী অসুস্থ নবজাতকের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা, উচ্চমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ নবজাতকের ফলোআপ ও রেফারেল সেবা প্রদান করা হয়।

Advertisement

প্রতিবেদনে স্ক্যানুর সফলতার একটি উদাহরণ হিসেবে মাতুয়াইল মা ও শিশু হাসপাতালের কথা উল্লেখ করা হয়। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেখানে ৫০ বেডের স্ক্যানু উদ্বোধন করা হয়। এরপর থেকে হাসপাতালে মাসিক ভর্তি সংখ্যা তিনগুণ বৃদ্ধি পায়।

সেপ্টেম্বর ২০১৫ থেকে সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত সময়ে রোগীর সংখ্যা ৫৯৪ থেকে ১৪৮৫ তে বৃদ্ধি পায়। একই সময়ে শিশু মৃত্যু হার ১৪ দশমিক ৭ থেকে ৮ দশমিক ৫ এ নেমে আসে।

সময়ের পূর্বে জন্ম নেয়া বা কম ওজনের শিশুর চিকিৎসা গ্রহণের জন্য ভর্তি সংখ্যা ৮৪ থেকে ৪৬০ এ বৃদ্ধি পায়। একই সময় নবজাতকের সেপসিস এ আক্রান্ত সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমে শতকরা ৩৩ ভাগ থেকে ২৩ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে আসে।

এমইউ/এএইচ/জেআইএম

Advertisement