বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, নানা ঘটনা ও দুর্ঘটনার সাক্ষী ১৪২৩ সনের চৌকাঠ ডিঙিয়ে ১৪২৪ সনের প্রভাতে অজানা কাল-প্রাঙ্গণের সীমানায় আমরা উপস্থিত হয়েছি। গত বছরের দুঃখ, অবসাদ, ক্লান্তি, হতাশা ও গ্লানিকে অতিক্রম করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা নিয়ে এসেছে বাংলা নববর্ষ।
Advertisement
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে খালেদা জিয়া বলেন, বাংলা সন-তারিখ আমাদের প্রাত্যহিক জীবন, দৈনন্দিন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অপরিহার্য অনুষঙ্গ, তাই এটি জাতীয় সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুদীর্ঘকাল ধরে গড়ে ওঠা ভাষা ও কৃষ্টির জমাট মোজাইককে ভেঙে ফেলার জন্য বিদেশি আধিপত্যবাদী প্রভুরা সাংস্কৃতিক আধিপত্য বিস্তারের জন্য মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। স্বজাতির ইতিহাস ঐতিহ্যকে ভুলিয়ে দেয়ার জন্য চলছে নানা ফন্দি ফিকির।
খালেদা জিয়া বলেন, বর্তমানে দেশজুড়ে চলছে এক ভয়াবহ দুর্দিন। তাই দেশের এই চরম সংকটকালে আমাদের ভাষা, সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার জন্য সব আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বছরের প্রথম দিনে আমি সবার কল্যাণ কামনা করি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আমাদের উৎসবের প্রাঙ্গণ ভরে উঠুক মানুষে মানুষে সম্প্রীতি ও ভালোবাসায়, বৈশাখের বহ্নিতাপে সমাজ থেকে চিরতরে বিদায় হোক অসত্য, অন্যায়, অনাচার ও অশান্তি। নববর্ষের এই নতুন সকালে মহান আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে সবার ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং জাতীয় সব পর্যায়ে সুখ ও শান্তি কামনা করি।
Advertisement
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার দেয়া বাণীতে বলেন, ফেলে আসা বছরের দুর্যোগ, দুর্বিপাক কাটিয়ে আমরা নতুন বছরে এগিয়ে যাওয়ার সোনালী সম্ভাবনা দেখতে পাবো বলে কামনা করি। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমরা আবারও মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করতে সক্ষম হবো এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এগিয়ে যাবো।
তিনি বলেন, ১৪২৪ বাংলা সনের প্রথম দিনের নতুন আলোতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট কায়মনোবাক্যে দেশের সব মানুষের সুখ ও শান্তির জন্য প্রার্থনা করি।
এমএম/বিএ
Advertisement