খেলাধুলা

সানজামুল নয়, মিরাজেরই অভিষেক হচ্ছে!

সত্যিই ক্রিকেট শুধু গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলাই নয়, বড্ড বেশি পরিসংখ্যান ভিত্তিক খেলাও। পরিসংখ্যান মূল ধরতব্য বলেই ত্রিকেটে অতীত নিয়ে ঘাটাঘাটি হয় খুব বেশি। ইতিহাস নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা চলে প্রচুর। কে, কবে, কোথায় কেমন করেছেন, কোন দল কার বিরুদ্ধে কোথায় বেশি ভালো খেলে? কার সঙ্গে পারে না, এসব নিয়ে অনেক বেশি কথাবার্তা হয় ক্রিকেটেই।তারপরও দিন শেষে বর্তমানই শেষ কথা। বর্তমান সময়টা ভালো না কাটলে শুধু অতীত দিয়ে কাজ হয় না। তা যে হয় না তার প্রমাণ ইমরুল কায়েস। বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার যিনি বিশ্বকাপের মত বড় আসরে পর পর দুই খেলায় ম্যাচ সেরার দূর্লভ কৃতিত্বের অধিকারী। ২০১১ সালে ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে একজোড়া ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের পুরস্কার উঠেছিল এ বাঁহাতি ওপেনারের হাতে।

Advertisement

এখানেই ইমরুল নামা শেষ নয়। আর ঘণ্টা দেড় পর যে মাঠে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ, সেই মাঠে ২০১০ সালে এশিয়া কাপে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সবাই যখন ব্যর্থতার মিছিলে, তখন একা ইমরুলই কেবল ভালো খেলেছিলেন। ঐ আসরে তিন ম্যাচে একমাত্র ইমরুলই দুুই হাফ-সেঞ্চুুরি করেছিলেন। কিন্তু যেহেতু তার সাম্প্রতিক ফর্ম খারাপ, তাই আজকের প্রথম একাদশের বাইরেই থাকতে হচ্ছে মেহেরপুরের এ ওপেনারকে।

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শততম টেস্টের আগে দেশ থেকে উড়ে আসার পর দু ইনিংসে চরম ব্যর্থতার পর গত ২২ মার্চ কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব মাঠে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি একাদশের বিরুদ্ধ প্রথম বলে আউট হওয়াই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ইমরুলকে খেলানোর বিষয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট তেন আগ্রহী নয়। সবাই না হলেও বাংলাদেশ ভক্তদের বড় অংশ ধরেই নিয়েছেন ইমরুল আজ সুযোগ পাচ্ছেন না।

সবার কৌতুহলি অপেক্ষা,  স্পিনার কোটায় খেলবেন কে? মেহেদী হাসান মিরাজ, নাকি সানজামুল ইসলাম নয়ন। কাল থেকে জল্পনা-কল্পনার ফানুস উড়ছে আকাশে। আজ সকাল থেকেও ঘুরে ফিরে ঐ একই প্রসঙ্গ নিয়েই আলোচনা। যেহেতু দুজনার কেউই আগে কখনো ওয়ানডে খেলেননি, তাই যেই খেলুন না কেন একজনের অভিষেক হবেই। এখন অভিষেকটা কার হবে, বাঁহাতি স্পিনার সানজামুলের, নাকি অফস্পিনার মিরাজের?

Advertisement

তবে শেষ মুহূর্তের খবর, সম্ভবত মিরাজেরই অভিষেক হচ্ছে। লঙ্কান ব্যাটিং অর্ডারে চার-পাঁচজন বাঁহাতি। এর মধ্যে টপ অর্ডারে উপল থারাঙ্গা, বিরাকোডির মত উইলোবাজও বাঁহাতে ব্যাট করেন। তাই অনেক ভেবে চিন্তে বাঁহাতি সানজামুলকে বাইরে রেখে সম্ভবত ডানহাতি অফব্রেক বোলার মিরাজকে খেলানোর সিদ্ধান্ত। যতদুর জানা গেছে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গত বছর শেষ দিকে টেস্টে স্বপ্নীল অভিষেক হওয়া মিরাজই হচ্ছেন শেষ মুহূর্তের সংযোজন।

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে খুলনার এ ২০ বছর বয়সী যুবাকেই হয়তো স্পিন আক্রমণ সামলাতে দেখা যাবে। টিম কম্বিনেশন আগেই মোটামুুট ঠিক সাত ব্যাটসম্যান। তিন পেসার আর অলরাউন্ডার সাকিবকে ব্যাটসম্যানের পাশাপাশি স্পিনার ধরে দুই স্পিনার। সাত ব্যাটসম্যান কোটায় কারা খেলবেন, তা নিয়ে কোন সংশয় নেই। দ্বিতীয় স্পিনার ঠিক করার পাশাপাশি মাশরাফি ও মোস্তাফিজের সঙ্গে তৃতীয় সিমার হিসেবে কাকে খেলানো হবে, তাসকিন না শুভাশিস- তা নিয়ে খানিক সংশয় ছিল। শুভাশিস একটু শারীরিক সমস্যার কারণে শুক্রবার শেষ প্র্যাকটিস সেশনে বোলিং-ব্যাটিং বা ফিল্ডিং কিছুই করেননি। একদম শেষ মুহূর্তের খবর- তৃতীয় পেসার হিসেবে মাঠে নামতে যাচ্ছেন তাসকিন আহমেদ।

তাহলে বাংলাদেশের একাদশ কি দাঁড়ালো :   তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহীম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।

এআরবি/এমআর/এমএস

Advertisement