রাজধানীর শাহআলী থানাধীন বেড়িবাঁধের ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার শিশুটিকে একাধিক দম্পত্তি দত্তক নেয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। তালিকায় দিনমজুর ও গার্মেন্টকর্মী থেকে শুরু করে ধানমন্ডি, গুলশান ও বনানীর মতো অভিজাত এলাকায় বসবাসকারী বিত্তশালী ভিআইপিরাও রয়েছেন। শিশুটি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে চিকিৎসাধীন। নবজাতক বিভাগের একাধিক চিকিৎসক ও নার্স এ তথ্য জানিয়েছেন। তারা জানান, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ডাস্টবিন থেকে নবজাতক উদ্ধারের খবর প্রকাশিত হলে অনেকেই শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে আসেন। তাদের অনেকেই আবার নবজাতক বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে দেখা করে দত্তক নেয়ার ইচ্ছা জানিয়েছেন। বুধবার দুপুরে নবজাতক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মনিষা ব্যানার্জি জাগো নিউজকে বলেন, ফুটফুটে ওই নবজাতককে তার বাবা-মা ডাস্টবিনে ফেলে গেলেও বিধাতার কৃপায় অনেকেই শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইছেন। তিনি আরও বলেন, শিশুটির বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজন না থাকায় বর্তমানে হাসপাতাল পরিচালকই তার আইনগত অভিভাবক। যারাই দত্তক নেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন তাদের হাসপাতাল পরিচালক বরাবর আবেদনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। শিশুটির শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে ডা. মনিষা বলেন, শিশুটি অনেকটাই সুস্থ। তাকে প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর আট এমএল গুঁড়ো দুধ খাওয়ানো হচ্ছে। শিশুটি এখন হাসছে, হাত-পা নেড়ে খেলছে।তিনি আরও বলেন, ১১ মার্চ শাহআলী থানা পুলিশ যখন শিশুটিকে ডাস্টবিন থেকে পলিথিন মোড়ানো অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে তখন তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। এছাড়া জন্ডিসের পাশাপাশি পানি শূন্যতায় ভুগছিল। এ কারণে তাকে স্পেশাল কেয়ার বেবি ইউনিটে ভর্তি রেখে বিশেষায়িত চিকিৎসা দেয়া হয়। প্রথমদিন তাকে এক মায়ের দুধ খাওয়ানো হয়েছিল।চিকিৎসকরা জানান, নবজাতককে উদ্ধার করে যখন ভর্তি করা হয় তখন তার বয়স দু-তিনদিন ছিল। সাধারণত সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতকের ওজন আড়াই কেজি হলেও তার ওজন ছিল ১ কেজি ৭০০ গ্রাম। শিশুটির ওজন বেড়েছে কিনা জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা. মনিষা জানান, দুই সপ্তাহ পর সাধারণত নবজাতকের ওজন বাড়ে। সেক্ষেত্রে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে শিশুটি দুধ খেয়ে স্বাভাবিকভাবেই হজম করতে পারছে। এ লক্ষণগুলো ইতিবাচক।এমইউ/জেএইচ/এএইচ/এমএস
Advertisement