১৯৮৫ সালে জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিভা অন্বেষণ ‘নতুন কুঁড়ি’-তে অভিনয়, নাচ এবং গল্প বলাতে প্রথম হন। এরপর শিশুশিল্পী হিসেবে টিভি নাটকে অভিনয়। অভিনয়, নাচ ও সংগীত- তিনটি শাখাতেই তার মুগ্ধ বিচরণ। তবে নিজের সেরা পছন্দের জায়গা হিসেবে অভিনয়কেই বেছে নিয়েছিলেন। সময়ের পালাক্রমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন নন্দিত একজন অভিনেত্রী হিসেবে। নাচেও আছেন নিয়মিত। ২০১২ সালের জুলাইয়ে প্রকাশ হয় তার গানের একক অ্যালবাম ‘আকাশ দেব কাকে’। শ্রোতামহলে বেশ আলোচিত ছিল অ্যালবামটি। বলছি বহুমুখী প্রতিভার শিল্পী তারিন জাহানের কথা। ক্যারিয়ারের প্রায় তিন দশক পেরিয়ে আজও সমানতালে কাজ করে চলেছেন তিনি সমান জনপ্রিয়তা নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কাজ করলেন ভিশন মাইক্রোওভেনের একটি বিজ্ঞাপনে। রাজধানীর কোক স্টুডিওতে গেল ৪ মার্চ, শনিবার শেষ হয়েছে এর দৃশ্যধারণ। সেখানেই জাগো নিউজের মুখোমুখি হন তারিন। বলেছেন তার সাম্প্রতিক ব্যস্ততা, সমকালীন টিভি নাটকের নির্মাণ ও দর্শক ভাবনাসহ নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা। মাহবুব আলমের ছবিতে লিখেছেন লিমন আহমেদজাগো নিউজ : অনেকদিন পর বিজ্ঞাপনের কাজ করছেন। কেমন লাগছে?তারিন : সে প্রায় এক বছর পর বিজ্ঞাপনের কাজ করছি। খুব ভালো লাগছে। বিজ্ঞাপনে কাজ করতে সবসময়ই ভালো লাগে। একটি নাটকে গল্প বা কোনো মেসেজ প্রতিষ্ঠা করতে অনেকক্ষণ সময় পাওয়া যায়। কিন্তু বিজ্ঞাপনে খুব অল্প সময়ে অনেক কিছু প্রকাশ করতে হয়। এটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। এজন্যই বিজ্ঞাপনে কাজে অন্যরকম আগ্রহ পাই। আর এই বিজ্ঞাপনটি করতে গিয়ে ভালো লাগার মাত্রাটা একটু বেশি। কারণ, এটি দিয়েই এই প্রথমবার দেশের বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের কোনো পণ্যের মডেল হয়েছি। এটি আমার চলতি বছরেরও প্রথম বিজ্ঞাপন। পাশাপাশি নির্মাতা পূজা রোজারিওকে আমি অনেকদিন ধরেই চিনি। কিন্তু তার সঙ্গে কাজ করা হয়নি। এই বিজ্ঞাপন সেই সুযোগ করে দিলো।জাগো নিউজ : আপনার বিজ্ঞাপনের সংখ্যা থেকেই অনুমান করা যায় বেশ বেছে বেছে কাজ করেন আপনি। সাধারণত কোনো বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো প্রাধান্য দেন?তারিন : বিজ্ঞাপনের অনেক প্রস্তাব পাই। কিন্তু আমি কিছু বিষয় মেনে চলি। প্রথমটি হলো- যে পণ্যটি আমাকে মুগ্ধ করে না বা নিজে ব্যবহারের আগ্রহী নই সেই পণ্যের প্রচারণা করতে চাই না। আরএফএল ইলেকট্রনিকস লিমিটেডের ভিশন মাইক্রোওভেনটি আমার খুব পছন্দ হয়েছে। এর মান ও সুবিধা যে কোনো রাধুনীকেই আকৃষ্ট করবে। এরপর আমি প্রাধান্য দেই বিজ্ঞাপনের কনসেপ্ট। এরপর নির্মাতার বিষয়টি মাথায় রাখি। এখন পর্যন্ত যে কয়টি বিজ্ঞাপন আমি করেছি সবগুলোর নির্মাতাই নির্মাণের মান নিয়ে কোনো আপোষ করেন না। এই বিজ্ঞাপনেও পূজা রোজারিওর নির্মাণ দেখে মুগ্ধ হয়েছি। তার কাজ সম্পর্কে আগেই ধারণা ছিলো। কাজ করতে গিয়ে দেখেছি তিনি বেশ গুছিয়ে কাজ করেন। জাগো নিউজ : তবে ইদানিং আপনাকে অভিনয়ে অনিয়মিত দেখা যায়...তারিন : এই তথ্যটি সঠিক নয়। আমি প্রচুর কাজ করছি। সম্প্রতি বৈশাখী টিভিতে সাগর জাহানের ‘হাটখোলা’ নামে একটি মেগা সিরিয়ালের প্রচার শুরু হয়েছে। এতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে কাজ করছি। এছাড়াও আরও দুটি ধারাবাহিক প্রচার হচ্ছে আমার। আর সপ্তাহের প্রায় দুই তিনদিন কোনো না কোনো চ্যানেলে খণ্ড নাটক ও টেলিফিল্ম প্রচার হচ্ছে আমার অভিনয়ে। আসলে সমস্যাটা হয়েছে, এখন অনেক চ্যানেল। দর্শক সব চ্যানেলের খবর রাখেন না। তাই তাদের সঙ্গে গ্যাপ তৈরি হয়। আর নাটকগুলোর প্রচার প্রসারে চ্যানেলের দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা কিংবা ইচ্ছের অভাবও দায়ী। দর্শক না জানলে কেমন করে আমার নাটকের খবর রাখবেন? অনেক ভালো কাজের খবর আড়ালে থেকে যাচ্ছে আজকাল। জাগো নিউজ : হয়তো আপনার কথাই ঠিক। তবুও বলছি, সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগে আপনার একটা গ্যাপ আছে। সেই থেকে প্রচারের দুর্বলতা তৈরি হয়েছে। এমনটি কী হতে পারে না?তারিন : খুব ভালো বলেছেন। এটা একটা কারণ হতেও পারে। এখন নতুন একটা প্রজন্ম লিড করছে সাংবাদিকতায়। তাদের সঙ্গে আমার খুব একটা যোগাযোগ নেই। দু’ চারজনকে আমি চিনি। কারো কারো সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়। কিন্তু দেখা হয় না। আমার সময়কার সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগের যে আত্মিক একটা সম্পর্ক ছিলো সেটি এই সময়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে নেই। এজন্য আমার কাজের খবরগুলোও খুব একটা প্রচারে আসছে না। তবে আমার বিশ্বাস, যারা তারিনের ভক্ত তারা ঠিকই খোঁজখবর রাখেন এবং আমার অভিনয়, নাচ উপভোগ করেন। জাগো নিউজ : আজকাল প্রায় সবখানেই অভিযোগ উঠছে যে আমাদের নাটকের মান পড়ে গেছে। এজন্য ধীরে ধীরে ছোটপর্দা ধ্বংসের দিকে এগুচ্ছে। দর্শক নাটক দেখছে না। তারা ভিনদেশি টিভির অনুষ্ঠানের দিকে ঝুঁকছে। আপনি কী একমত?তারিন : পুরোপুরি একমত নই। এখানে ভালো নাটক হচ্ছে না এটা শতভাগ নয়। ভালোর সংখ্যাটা কমে গেছে বলা যেতে পারে। আর মন্দগুলোই বেশি প্রচারে আসছে চাকচিক্য বা নানা কারণে। সেজন্য ভালো নাটকগুলো দর্শকদের চোখ এড়িয়ে যায়। দেখুন, দর্শক সারাদিনের ক্লান্তি শেষে একটু বিনোদনের মাধ্যমে রিলাক্স হতে চায়। কিন্তু যখন তাদের চাহিদায় আঘাত আসছে তখন তারা যেখানে চাহিদা পূরণের সুযোগ পাচ্ছেন সেখানেই চোখ রাখছেন। তবে ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আমি এটি মানি না। এখনো অনেক ভালো কাজ হচ্ছে। সেগুলো ভালো করে প্রমোট করা উচিত। জাগো নিউজ : ভালো নাটক বা অনুষ্ঠান কিংবা যদি বলি দর্শকের চাহিদা অনুযায়ী বিনোদন আমরা দিতে পারছি না। এর দায় কার?তারিন : এর দায় এককভাবে কারোর নয়। এটি একটি সমষ্টিগত সমস্যা। এজন্যই দিনে দিনে সেটি ভয়ংকর হয়ে উঠছে। বৈচিত্রময় ও মৌলিক গল্প সংকট, ভালো নির্মাণ, অভিনয়ের দক্ষতা কমে গেছে। আগের মতো এখন আর অভিনয়ের জন্য রিহার্সেল দেখা যায় না। গল্পে বৈচিত্রতা থাকছে না। গল্প বা চরিত্রে বাস্তবতাও খুব একটা নেই যা দর্শককে আন্তরিক করে তুলবে সেই গল্প ও চরিত্রের প্রতি। আগের গল্পকাররা গবেষণা করতেন দর্শক কী চান, কেমন গল্পের নাটক চান। পরিচালকরাও অনেক ভাবতেন। এখন এসব একেবারেই নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয়তার নাম করে আনকোরা ও একেঘয়েমিতে ভরা চরিত্র নির্মাণ করে মানহীন গল্প বাছাই হচ্ছে। ভালো গল্পগুলো সুযোগ পাচ্ছে না। পাশাপাশি যোগ হয়েছে এজেন্সির আধিপত্যে নির্মাণের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের মতো প্রতিবন্ধকতা। আর সবচেয়ে বড় যে বাঁধা আমাদের, সেটি হলো বাজেট। নাটকই বলুন কিংবা অনুষ্ঠান, বাজেটই মূল সমস্যা হচ্ছে মান ঠিক রেখে নির্মাণের ক্ষেত্রে। বাজেট না থাকলে কখনই মানসম্পন্ন কিছু করা যায় না। ভালো গল্প, নির্মাণের মুন্সিয়ানা, অভিনয়শিল্পীদের দক্ষতা নিশ্চিত করতে ভালো বাজেটের বিকল্প কিছু নেই। তাই ভালো বাজেট হলে এখনও আমাদের চ্যানেলেই বিনোদিত হবার মতো নাটক ও অনুষ্ঠান বানানো সম্ভব। দর্শকও দেশীয় চ্যানেলে ফিরে আসবেন। বিদেশি সিরিয়াল প্রচারও বন্ধ হবে।জাগো নিউজ : আজকাল এও বলা হচ্ছে টিভির চেয়ে দর্শক ইউটিউবেই নাটক বেশি দেখছেন। আপনি কী বলবেন? তারিন : এখন সময়টা অনলাইনের। সময়ের সঙ্গে দর্শকও বদলেছে এটা মানতে হবে। নতুন প্রজন্মের প্রচুর দর্শক অনলাইনে বিনোদন পাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু নাটকের সব দর্শক ইউটিউবে এটা ঠিক নয়। টিভিতে এখনও দেশের আশিভাগ মানুষ নাটক দেখেন। জাগো নিউজ : সময়ের নতুন বিড়ম্বনা ফেসবুক সেলিব্রেটি। অভিনয়ের দক্ষতা র অভাব ও অপরিপক্ক পেশাদারীত্ব সত্বেও নতুন প্রজন্মের অনেকেই ফেসবুক ফলোয়ার দিয়ে বড় তারকার তকমা পাচ্ছেন। এই বিষয়ে কী বলবেন?তারিন : নতুন প্রজন্মে অনেক অভিনয়শিল্পীরাই চমৎকার কাজ করেন। আমি তাদের কাজ দেখি। অনেকের সঙ্গে আমি কাজও করেছি। সমস্যা যেটা হয়েছে সেটা সিস্টেমের। একটা নাটকের শুটিংয়ে এই প্রজন্মের একজন অভিনেত্রী আমাকে হঠাৎ বললো, ‘আপু তুমি কী চমৎকার অভিনয় করো। তোমার কতো সুনাম। কিন্তু ফেসবুকে কেন ফলোয়ার বাড়াও না? ফেসবুক ফলোয়ার থাকলে তো এজেন্সিগুলো তোমাকে কল দিতো। প্রচুর কাজের অফার আসতো।’ আমি তার কথা শুনে অবাক হইনি। কারণ, ওর কোনো দোষ নেই। ও একটি ভুল সিস্টেমের ফাঁদে আটকে গেছে। ফলোয়ার বা ফেসবুক জনপ্রিয়তা দিয়ে হয়তো কিছুদিন প্রচুর কাজ পাওয়া যায়, আলোচনায় থাকা যায় কিন্তু প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায় না এটা এইসব ছেলেমেয়েরা বুঝতে পারে না। গেল কয়েক বছরে অনেক তারকাই জন্ম নিয়েছে আবার হারিয়েও গেছে। এর কারণ, ওদের সঠিক পথে পরিচালনা করা যায়নি। স্বস্তা জনপ্রিয়তা ওদের মাথা নষ্ট করে দেয়। ক্যারিয়ার নিয়ে তারা সুদূরপ্রসারী হতে পারে না। বর্তমানের চাকচিক্য ওদের ঘোরের মধ্যে রাখে। তাই আমি নতুনদের বলবো, ফলোয়ার বা ইউটিউবের ভিউয়ারকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের অভিনয় ও পেশাদারীত্বকে প্রাধান্য দিতে হবে। মনযোগ দিতে হবে প্রতিষ্ঠার দিকে। কেননা, ওদের হাতেই তো আগামীর নেতৃত্ব থাকবে শোবিজের।জাগো নিউজ : একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে যাই। সম্প্রতি টেলিভিশন শিল্পীদের সংগঠন শিল্পী সংঘের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। আপনিও এখানে সহ সভাপতি পদে প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচিত না হলেও নিজের ভাবনা ও পরিকল্পনার প্রতিফলন নিশ্চয়ই নির্বাচিত কমিটির মাধ্যমে দেখতে চান। সেগুলো কেমন জানতে চাই...তারিন : কে পাশ করলো আর কে হারলো এটা কোনো বিষয় নয়। টেলিভিশন শিল্পীদের উন্নয়ন ও প্রসারে আমরা একটি প্লাটফর্ম তৈরি করতে চেয়েছি, সবাই মিলে এক হতে চেয়েছি- এটাই বড় কথা। আমার সবচেয়ে বড় ভাবনা ও পরিকল্পনা ছিলো এটাই। আমার বিশ্বাস, সব শিল্পীদের ক্ষেত্রেও তাই। শিল্পীদের অধিকার রক্ষা, নিজেদের বিপদে পাশে থাকা, ভালো নাটক-অনুষ্ঠান নির্মাণে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া, দর্শক ফিরিয়ে আনা, ছোট পর্দার সোনালী অতীত ফিরিয়ে আনাই হবে শিল্পী সংঘের দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালনে সবার মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। সবাইকে এক হয়ে থাকতে হবে। সবাই মিলে চেষ্টা করলে আবারও ইন্ডাস্ট্রিটা ঘুরে দাঁড়াবে বলেই বিশ্বাস করি আমি।জাগো নিউজ : আবারও অভিনয় প্রসঙ্গ। ছোট পর্দার অনেকেই বড় পর্দাতে সাফল্য পেয়েছেন। সেদিক থেকে চলচ্চিত্রে আপনার পদচারণা খুবই কম। এর কারণ কী?তারিন : প্রথমত আমি কখনই বাণিজ্যিক ঘরানার চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী হতে চাইনি। দ্বিতীয়ত যে ধারার ছবিতে আমি আগ্রহী সেই ধারার পরিচালকরা হয়তো আমাকে নিয়ে তেমন কোনো চরিত্র ভাবেননি। এর বাইরে বিশেষ কোনো কারণ আমি দেখি না। তবে ২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কাজলের দিনরাত্রি’ ছবিতে কাজ করে বেশ প্রশংসা পেয়েছিলাম আমি। এটা অভিনেত্রী হিসেবে আমাকে তৃপ্তি দিয়েছিলো।জাগো নিউজ : আপনার নাচের বিষয়ে জানতে চাই...তারিন : নাচ আমার খুব প্রিয় একটি মাধ্যম। ছোটবেলা থেকেই নাচের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। অভিনয়ের পাশাপাশি তাই নাচের কোনো অনুষ্ঠানে সুযোগ পেলে এনজয় করি। বিশেষ দিবস উপলক্ষে নাচের অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নেই।জাগো নিউজ : আপনি তো গানও করেন। ছোটবেলা থেকে ওস্তাদের কাছে সংগীতে তালিমও নিয়েছেন। একটি অ্যালবামও প্রকাশ করেছিলেন কয়েক বছর আগে। কিন্তু অভিনয় ও নাচের মতো গানে আপনাকে নিয়মিত হতে দেখা যায়নি। কেন?জাগো নিউজ : অভিনয় ও নাচের প্রতি মনযোগী হতে গিয়েই গানকে আর প্রাধান্য দেয়া যায়নি। তবে আমার মায়ের খুব ইচ্ছে ছিলো আমি গায়িকা হবো। তার সেই ইচ্ছেকে সম্মান জানাতেই ২০১২ সালের জুলাইয়ে ‘আকাশ দেব কাকে’ অ্যালবামটি করেছিলাম। মা খুব খুশি হয়েছিলেন। আর মজার বিষয় হচ্ছে অ্যালবামটির জন্য দারুণ সাড়া পেয়েছিলাম। অনুপ্রেরণাও পেয়েছি। কিন্তু বর্তমানে গানের বাজারের অবস্থা খুবই করুণ। শ্রোতারা এখন দর্শক হয়ে গেছেন। গানের অডিওর ইতিহাস বিলীন হয়ে যাচ্ছে মিউজিক ভিডিওর আধিপত্যে। তাই গান করার ইচ্ছেটা আর নেই। জাগো নিউজ : এমনিতে গান শোনা হয়?তারিন : প্রচুর গান শুনি আমি। শুটিংয়ের ফাঁকে বা অবসরে অনেক গান শুনি। সবরকম গানই আমার পছন্দ। পছন্দের শিল্পীর তালিকাও বেশ লম্বা। জাগো নিউজ : আপনার সমসাময়িক অনেকেই নাটক নির্মাণ ও চিত্রনাট্যে নাম লেখিয়েছেন। আপনার ইচ্ছে করে না?তারিন : এমন ইচ্ছে আমার নেই। আসলে এসব সৃষ্টিশীল কাজ বেশ ধৈর্য্য ধরে করতে হয়। আমাকে দিয়ে হবে না। আমি একজন শিল্পী হিসেবেই সন্তুষ্ঠ থাকতে চাই।জাগো নিউজ : অনেকটা পথ আপনি পাড়ি দিয়ে এসেছেন। তবুও জানতে চাই আপনার ভবিষ্যত ভাবনা কী?তারিন : ভালো থাকা, সুন্দর থাকা। যতদিন বেঁচে থাকি অভিনয়, নাচকে সঙ্গে নিয়েই থাকতে চাই। যেমন মজবুত একটা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ শুরু করেছিলাম আবার সেই ইন্ডাস্ট্রিতে ফিরে যাবো সেই স্বপ্ন দেখি। জাগো নিউজ : আগামীকাল ৮ মার্চ নারী দিবস। এই দিনটিতে আপনার বক্তব্য কী?তারিন : বিশেষ একটি দিনে নারীকে গুরুত্ব দিলেই হবে না। নারীরা এখন সর্বক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত এবং সফল। সমাজে তাদের অবদানকে গুরুত্ব দিতে হবে প্রত্যেকটি দিন। জগতের সব নারীরা স্বাধীনতা, প্রাণের প্রাচুর্য নিয়ে বাঁচুক। এলএ
Advertisement