বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ৮ হাজার ৬০০ আবাসিক প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া দুই লাখ ৬০ হাজার প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। এটা ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ হবে। শিল্প খাতেও প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কার্যকারিতা পরীক্ষাধীন। বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সদস্য এম এ মালেকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, প্রি-পেউড মিটার স্থাপনের পর এক জরিপে দেখা গেছে, প্রতিটি ডাবল বার্নার চুলায় গড়ে ৩৩ ঘনমিটার গ্যাস সাশ্রয় হয়। এছাড়া এ মিটার স্থাপনের পর গ্রাহকরা দায়িত্বশীলভাবে গ্যাস ব্যবহার করে। তাই গ্রাহকদের প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য বেগম আখতার জাহানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আন্তর্জাতিক জ্বালানি তেলের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। তাই দেশের অভ্যন্তরে তেলের দাম কমানো বা বাড়ানো সম্ভব না। এছাড়া অতীতের প্রায় সাড়ে ২৭ হাজার কোটি টাকা সরকারি ঋণ এখনও রয়ে গেছে। তাই এখন আবার জ্বালানি তেলের দাম কমানো হলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন আবার ঋণগ্রস্ত হবে। মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো অনেক পুরনো। এজন্য নিয়মিত মেরামত করে এগুলো চালু রাখা হয়েছে। বর্তমানে এ কেন্দ্রগুলো সব চালু রাখা হয়েছে। এইচএস/জেএইচ/জেআইএম
Advertisement