টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত ইজতেমায় আগতদের ভিড় কমাতে ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব ইজতেমা। এরই ধরাবাহিকতায় শুরু হয় অঞ্চলভিত্তিক জেলা ইজতেমা।২০১৮ সালের বিশ্ব ইজতেমায় ৩২টি জেলার সাথীরা আংশগ্রহণ করবেন। আর এবারের বিশ্ব ইজতেমায় ঢাকাসহ ৩৪ জেলার সাথীগণ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে ইজতেমায় অংশ গ্রহণ করেছেন।২০১৮ সালের বিশ্ব ইজতেমায় দেশের ৩২ জেলার তাবলীগ জামাতের সাথীরা দুই পর্বে বিভক্ত হয়ে অংশ গ্রহণ করবে। এ বছর যে ৩২টি জেলা বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করেছে আগামী বছর (২০১৮) তারা অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন।গত বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি ) ইজতেমার মাঠে দেশ-বিদেশের মুরব্বিদের পরামর্শ বৈঠকে (মাশওয়ারায়) অংশগ্রহণকারী জেলার বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।বিশ্ব ইজতেমায় প্রতি বছর প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে। আখেরি মোনাজাতে এ সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণে পরিণত হয়। যা টঙ্গীর তুরাগ তীরের মাত্র ২৬০ একর ময়দানের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।আবার ভিড়ের কারণে বিশ্ব ইজতেমায় আগতরা শীর্ষ আলেমদের বয়ান শুনতেও কষ্টের সম্মুখীন হন। বিধায় দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমাকে জেলায় জেলায় ভাগ করায় বিশেষ সুবিধা হয়েছে আগতদের। আগতরা এখান থেকে হেদায়েতি বয়ান শুনে দাওয়াতে দ্বীনের কাজে বিশ্বব্যাপী দাওয়াত পৌছে দিতে জামাত নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।উল্লেখ্য যে, এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে ১৭ জেলার সাথীগণ অংশ গ্রহণ করেন এবং দ্বিতীয় পর্বেও ঢাকাসহ অংশগ্রহণ করেন ১৭ জেলার সাথীগণ। যারা এ বছর বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি সে সব জেলার সাথীরা ২০১৮ সালের বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন।এবারের ইজতেমার দুই পর্ব থেকে বিভিন্ন মেয়াদে দ্বীনের মেহনতে প্রায় ৫ হাজার জামাত গঠন করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথম পর্ব থেকেই ২ হাজার ৫৩৩টি জামাত দ্বীনের কাজে বের হয়ে গেছে।এমএমএস/এমএস
Advertisement