নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি, নথিপত্র ও জুডিশিয়াল রেকর্ড আজ রোববার দুপুরের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানো হবে। সেখানে হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্সে এই মামলার শুনানি হবে অচিরেই। আজ রোববার বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওয়াজেদ আলী খোকন সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।
Advertisement
এসময় উচ্চ আদালতেও নিম্ন আদালতের রায় বহাল থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি আরো জানান, দুটি মামলার রায় হচ্ছে ১৬৩ পাতা করে। দুটি মামলার রায় ১১ হাজার লাইন করে ২২ হাজার লাইন। পিপি বলেন, বিচারকের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, র্যাব একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী, র্যাবের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়নি, র্যাব এখনো আগের মতই রয়েছে। জঙ্গি দমন, সন্ত্রাস দমন, মাদক নির্মূলে র্যাবের অনেক সুনাম রয়েছে। বাংলাদেশে র্যাবের গৌরবউজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। জাতির ক্লান্তিলগ্নে র্যাব কাজ করেছে কিন্তু সাত খুনের ঘটনায় র্যাবের কয়জন উচ্চাভিলাষী কর্মকর্তার কারণে এই সাতখুনের ঘটনা ঘটেছে যা দুঃখজনক।এ ক্ষেত্রে বিচারক র্যাবকে তিরস্কৃত ভাষা উল্লেখ করে বলেছেন ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের উচ্চাভিলাষী সদস্য নিয়োগ করা না হয় এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।তিনি আরো বলেন, রায়ের পর্যালোচনায় নুর হোসেন ও নজরুল দুজনেই সন্ত্রাসী। দুজনেরই বিশাল বাহিনী ছিল। তাদের মাঝে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নানা বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের কারণেই নজরুল ছিল নুর হোসেনের টার্গেট। আর তাদের এ কারণেই আরো ছয়জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয় কিন্তু নজরুল ছিল নুর হোসেনের একক টার্গেট। প্রসঙ্গত, ১৬ জানুয়ারি সোমবার নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলার রায়ে প্রধান আসামি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও র্যাবের বরখাস্তকৃত তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত। এ মামলার ৩৫ জন আসামির মধ্যে বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।সাজাপ্রাপ্ত ৩৫ আসামির মধ্যে ১২ জন পলাতক রয়েছেন। গ্রেফতারকৃত ২৩ জনের মধ্যে ১৮ জনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে ও ৫ জন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ১ ও ২ রাখা হয়েছে। শাহাদাত হোসেন/এফএ/এমএস
Advertisement