দেশজুড়ে

মাদক মামলার সাক্ষীকে পিটিয়ে আহত

মাদক মামলার সাক্ষী হওয়ায় যশোরের শার্শা উপজেলার অগ্রভুলট বাজারের চায়ের দোকানি হযরত আলীকে (৪০) পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়া হয়েছে। এমনকি তার চায়ের দোকানটি ভেঙে দিয়েছে মাদক ব্যবসায়ীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর নিয়ে যেতে পারছে না স্বজনেরা। ঘটনাটি কাউকে জানাতেও নিষেধ করে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে বাগআঁচড়ার একটি ক্লিনিকে মাদক ব্যবসায়ীদের নজরদারিতে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। জানা গেছে, গত ৩ জানুয়ারি যশোর ডিবি পুলিশের এসআই এজাজুর রহমান হযরত আলীর চায়ের দোকানের সামনে থেকে অগ্রভুলট গ্রামের হাফিজের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী হজরতকে আটক করে। পরে মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয়দাতা ইউপি মেম্বার তবিবর রহমান ২০/৩০ লোক নিয়ে পুলিশের কাছ থেকে হজরতকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে হজরতকে ৪৬ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে। এ ব্যাপারে ডিবি পুলিশের এসআই এজাজুর রহমান বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলার আসামি করা হয় হজরত, ইউপি মেম্বার তবিবরসহ ১০ জনকে। পুলিশ ওই মামলায় সাক্ষী করেন চায়ের দোকানি হযরত আলীকে। মামলার নকল কপি হাতে পাবার পর ইউপি মেম্বার তবিবরসহ ১০/১২ জন বৃহস্পতিবার রাতে চা দোকানি হযরত আলীকে মারপিট করে তার হাত-পা ভেঙে দেয়। সেই সঙ্গে ভেঙে দেয়া হয় তার চায়ের দোকানটিও। হযরত বর্তমানে বাগআচঁড়া বাজারের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাকে যশোর আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত হুমকি দেয়া হচ্ছে তার পরিবারকে। এর ফলে ভয়ে পরিবারটি এখনও থানায় মামলা করতে পারেনি।এ ব্যাপারে বাগআঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জিয়াউর রহমান জানান, বিষয়টি কেউ আমাকে জানায়নি। আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বাররা বিষয়টি মীমাংসা করে নিবে বলে জেনেছি। থানায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। জামাল হোসেন/এআরএ/পিআর

Advertisement