২০ দলীয় জোটের চলমান অবরোধ আর ঘনঘন হরতালে দিনে প্রায় কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে বঙ্গবন্ধু সেতু। স্বাভাবিক সময়ে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১৬ হাজার যানবাহন চলাচল করলেও এখন চলাচল করছে মাত্র ৬ হাজারের কম বা বেশি। এর মধ্যে বেশির ভাগই মালবাহী ট্রাক। এর ফলে চলমান অবরোধ ও ঘনঘন হরতালে প্রতিদিন গড়ে প্রায় কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।বঙ্গবন্ধু সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনায় নিয়োজিত (এম.সি.সি.সি-এস.ই.এল-ইউ.ডি.সি জয়েন্ট ভেঞ্চার) কোম্পানির তথ্য মতে, এ সেতুতে অতন্ত ১৫-১৬ হাজার যানবাহন প্রতিদিন চলাচল করে ও রাজস্ব আদায় হয় প্রায় দেড় কোটি টাকা। সেখানে গত ৬ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলমান অবরোধ ও ঘনঘন হরতালের মধ্যে এ বঙ্গবন্ধু সেতুটি দিয়ে বাস, ট্রাক, পিকআপ, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য পরিবহন চলাচল করেছে প্রায় ৭৫ হাজার আর আদায় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যেই উঠে এসেছে সেতুটির রাজস্বে নেমে আসা বড় অংকের ধসের চিত্র।বঙ্গবন্ধু সেতুতে কয়েকদিন সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, অবরোধে সেতুতে কিছু সংখ্যক মালবাহী ট্রাক ও ছোট ছোট যানবাহন দিনে চলাচল করতে দেখা গেলেও রাতে এর পরিমাণ কিছুটা বৃদ্ধি পায় এবং এর বেশীর ভাগই ট্রাক। তবে সেতুতে যাত্রীবাহী কোনো কাউন্টার বাস দেখা যায়নি। বঙ্গবন্ধু সেতুর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক জাগোনিউজকে বলেন, ২০ দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধ ও ঘনঘন হরতালে অর্ধেক পরিবহনও পারাপার হচ্ছে না সেতু দিয়ে। স্বাভাবিকভাবে পরিবহন চলাচল না করায় বিপুল পরিমাণ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।এমএএস/পিআর
Advertisement