নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় জঙ্গি আস্থানায় ঢাকার সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুলশান হামলার মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরীসহ নিহত তিন জঙ্গির আলামত সংগ্রহ করছে।সেই সঙ্গে তামিম চৌধুরী ছাড়া বাকি দুজনের একজন জঙ্গি সদস্য ইকবাল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। যার কারণে ইকবালসহ দুজনের হাতের ছাপ নিয়ে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে ক্রাইমসিন।শনিবার অভিযান শেষে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ক্রাইমসিনের সদস্যরা ওই জঙ্গি আস্থানার বাসায় প্রবেশ করে।এর আগে পাইকপাড়ায় বড় কবরস্থান এলাকার নুরুদ্দিনের বাড়ির তৃতীয় তলায় জঙ্গিরা অবস্থান করছেন এমন খবর পয়ে শনিবার ভোরে ভবনটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেখানে অভিযান শুরু করে পুলিশ। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন হিট স্টং ২৭’। অভিযান শুরুর পর ১০টার দিকে সেখানে ব্যাপক গোলাগুলি শুরু হয়। এদিকে কাউন্টার টেরোরিজম অভিযান হিট স্ট্রং-২৭ এর কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার বাড়িটিতে ভোর হতে অভিযান চালানো হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে বেশ কয়েকটি গ্রেনেড ছুড়ে মারে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে জঙ্গিরা। এ সময় তাদের বারবার আত্মসমপর্ণের কথা বলার পর তা না করে গুলি ছুড়তে থাকে। পরে আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সোয়াট টিম অভিযান শুরু করে। এ সময় তাদের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেনেড ছিল। অভিযান শুরু হওয়ার পর উভয়ের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তারা আমাদের লক্ষ করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ হতাহত হয়নি।তিনি আরো জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের সময়ে জঙ্গিরা তাদের বাসায় থাকা ল্যাপটপ, মোবাইলসহ বিভিন্ন তথ্য নষ্ট করে ফেলে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুড়ে ফেলে। পাইকপাড়ার নুরুদ্দিন দেওয়ান জানান, তার তিন তলা ভবনের দুইটি করে ফ্ল্যাট রয়েছে। জঙ্গিরা ভবনের তিনতলায় জুলাই মাসের প্রথম দিকে বাসা ভাড়া নেয়। বাসার দক্ষিণ পাশে তারা অবস্থান করেছে। ঔষধের ব্যবসা করার কথা বলে বাসা ভাড়া নেয় তারা। মুরাদ ও রানা পরিচয়ে সাত হাজার টাকায় তারা বাসাটি ভাড়া নেয়। বাড়ির মালিক হিসাবে তাদের বাসায় গেলে দেখা যেত তারা রান্না করছে এবং অনেক সময় দেখা যেত তারা বিছানায় শুয়ে আছে। বাসা ভাড়া নেয়ার পর তাদের জঙ্গি সদস্য এমন কোনো সন্দেহ দেখতে পাওয়া যায়নি। শাহাদাত হোসেন/এএম/এবিএস
Advertisement