ভারতের ৭০তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভাষণ দিচ্ছেন। সামনে বসে আছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে মোদির ভাষণের সময় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তিনি। কেজরিওয়ালের এ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রায় ৯০ মিনিট ভাষণ দেন মোদি। দেশের ইতিহাসে স্বাধীনতা উপলক্ষে এত দীর্ঘক্ষণ ভাষণ দেওয়ায় সম্ভবত রেকর্ড গড়লেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। সন্ত্রাস থেকে কাশ্মীর প্রসঙ্গে যখন তোপ দাগছেন মোদি, তখন কেজরিওয়ালের চোখ বন্ধ। এমনিতেই মোদি-কেজরি বিরোধিতা দেশটির রাজনৈতিক মহলে নতুন কোনো তথ্য নয়।রাজ্যের হাত থেকে বিভিন্ন ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে বলে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন কেজরিওয়াল। কিন্তু দেশের এরকম গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে তার ঘুমিয়ে পড়া কতটা যুক্তিযুক্ত, সেই সমালোচনাতেই মুখর হয়েছেন নেতারা।তবে সত্যিই কি ঘুমাচ্ছিলেন কেজরিওয়াল? সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে কেজরিওয়ালের এ ছবি ছড়াতেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন আপ নেতা। খোদ দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোডিয়া এর জবাব দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত একাধিক বিজেপি নেতার ছবি টুইটারে পোস্ট করে তার কটাক্ষ, ‘মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ একঘেয়ে ছিল’। এ ছবিতে বর্ষীয়ান অনেক নেতারই চোখ বন্ধ। বার্তাটি পরিষ্কার। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী যদি ঘুমিয়ে থাকেন, তাহলে তারাও নিশ্চয়ই ঘুমিয়েছিলেন। তাহলে মানতে হবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা একঘেয়ে।অনেকেই মশকরা করে বলছেন ‘মেডিটেশন’ নয়, কেজরিওয়াল আসলে ‘মোদিটেশন’ করছিলেন। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মৃদু হেসে বলছে, এতদিনে রাহুল গান্ধী একটি কাজের কাজ করেছেন। কয়েকদিন আগেই দলিত নিগৃহ ইস্যুতে যখন সংসদ উত্তাল, তখন রাহুলের চোখ বন্ধ ছবি নিয়ে ঝড় উঠেছিল চারদিকে। অভিযোগ ছিল যে, সংসদে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন রাহুল গান্ধী। যদিও কংগ্রেসের তরফে সে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছিল।এসআইএস/এবিএস
Advertisement