জাতীয়

বছরে মারা যায় ২৬ হাজার শিশু

দেশে বছরে প্রায় সাড়ে চার লাখ শিশু জন্ম নেয় অপরিণত অবস্থায়। এর মধ্যে ২৬ হাজার শিশুরই মৃত্যু ঘটে।স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই মৃত্যুর হার মোট নবজাতকের মৃত্যুর হারের ৪৫ শতাংশ। অবশিষ্ট শিশুরা পরবর্তী সময়ে শারীরিক নানা জটিলতায় ভোগে। এছাড়া দেশে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসে আক্রান্ত। গর্ভবতী মায়ের যত্নে ও নবজাতকের অপরিণত অবস্থায় জন্মগ্রহণ প্রতিরোধে সরকার থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বিশ্বায়নের এই যুগে মানুষের ভ্রমণ অনেক বেড়েছে। নিকট অতীতে যে সকল মহামারি দেখা দিয়েছে, তা দ্রুতই বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এ সকল সংক্রামক রোগের মোকাবেলায় সরকার অনেক সক্ষমতা অর্জন করেছে। এ প্রক্রিয়া চলমান এবং তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশে যোগ্যতাসম্পন্ন রোগতত্ত্ববিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।তিনি আরো জানান, সরকার বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ও রোগতত্ত্ব কোর্স চালুর উৎসাহ এবং পৃষ্ঠপোষকতা করছে। এ সকল প্রতিষ্ঠান থেকে মানসম্পন্ন রোগতত্ত্ববিদ তৈরি হচ্ছে কি-না তাও সরকারের নজরদারিতে রয়েছে।  সরকারি দলের অপর সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সরকারি হাসপাতালে নবজাতক চুরি বন্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইউনিফর্ম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যেন রোগীর অ্যাটেনডেন্ট বা বহিরাগতদের সহজে পর্যবেক্ষণ করা যায়। এছাড়া হাসপাতালের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাকে আগের চেয়ে অধিক জোরদার করা হয়েছে। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে দালালচক্র প্রতিরোধে বিভিন্ন নির্দেশনা সম্বলিত মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এইচএস/এএইচ/এবিএস

Advertisement