নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের দুটি মামলায় মোবাইল কোম্পানির কর্মকর্তাসহ ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আগামী ২৫ জুলাই পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত সাত খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত নূর হোসেনসহ ২৩ আসামির উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে ওই সাত জনের সাক্ষ্য ও জেরা গ্রহণ করা হয়।নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, শুনানী শেষে আদালত আগামী ২৫ জুলাই পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন। সাক্ষ্য দানকারীরা হলেন, গ্রামীণ ফোনের সাবেক কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহম্মেদ, ঘটনার সময়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা আকতার হোসেন, ঢাকা বন বিভাগের কর্মকর্তা ফজলুল হক, পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আলী খান, র্যাবের ডিএডি জামালউদ্দিন তালুকদার, প্রত্যক্ষদর্শী রমজান হোসেন, মকবুল হোসেন ও আবদুর রহমান।জানা গেছে, সাত খুনের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী নিহত আইনজী চন্দন সরকারের মেয়ে জামাতা বিজয় কুমার পাল ও অপর বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। দুটি মামলাতেই অভিন্ন সাক্ষী ১২৭ জন করে।প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে প্রায় এক বছর পর গত ৮ এপ্রিল নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাত খুনের দুটি মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৩ জন কারাগারে আটক রয়েছেন। আর চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখনো ১২ জন পলাতক রয়েছেন।শাহাদাত হোসেন/এফএ/আরআইপি
Advertisement