‘আমরা আর কাউকে বিশ্বাস করি না। ওরা সব বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। সবাই তো ভাই পরিচয় দিয়েই কথা বলে। কিন্তু সর্বনাশ তো আপনাদের মতো মানুষেরাই করে গেল। কেউ ভেবেছিলাম, এমন বাংলাদেশ হবে।’হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মূল সড়কের পাশেই জনসাধারণের সঙ্গে উচ্চৈঃস্বরে এমন ক্ষোভ মিশ্রিত সতর্কবার্তা দিচ্ছিলেন পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই)।কথা হয় পুলিশের ওই এসআই মঈনুল হোসেনের সঙ্গে। বলেন, ‘সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছি। দম ফেলতে পারছি না। কোনো সাধারণ মানুষকে আমরা বিমানবন্দরে যেতে দিচ্ছি না। উপর থেকে কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।’জানা যায়, গুলশান ট্র্যাজেডির পরপরই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অারোপ করেছে প্রশাসন। গতকাল সকাল থেকে বিমানবন্দরের প্রবেশ মুখেই (বিমানবন্দরের মূল সড়ক) জনসাধারণকে আটকে দেয়া হচ্ছে। কেবল বিমানবন্দরের স্টাফ এবং পাসপোর্টধারী যাত্রীরাই ভিতরে প্রবেশ করতে পারছেন। যান চলাচলের ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।ঢাকার খিলগাঁও থেকে এসেছেন দিদার হোসেন। তিনি বলেন, অনেকবার বিমানবন্দরে এসেছি, কিন্তু এমন কড়াকড়ি কোনোদিন প্রত্যক্ষ করিনি। ইতালি থেকে চাচা আসবেন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে। দুই ঘণ্টা থেকে দাঁড়িয়ে আছি। কোনোভাবেই ভেতরে প্রবেশ করতে পারিনি।কথা হয় অপেক্ষারত আরেকজন শিমুল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, সকালে এসেছি কুষ্টিয়া থেকে। মামা আসবেন মালয়েশিয়া থেকে। কোনো প্রকার যোগাযোগ করতে পারছি না। যেখানে থাকার কথা সেখানে যেতে পারিনি। এত কড়াকড়ি অাগে জানলে কষ্ট বাড়াতে আসতাম না।দায়িত্বে থাকা এসআই মঈনুল হোসেন বলেন, আমাদের সতীর্থকে হারিয়েছি। মনে বড় কষ্ট। সন্ত্রাসীরা পরবর্তী টার্গেট বিমানবন্দর নিয়েছে বলে আমাদের তথ্য জানানো হয়েছে। এ কারণেই নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো ছাড় দিচ্ছি না।এএসএস/বিএ/এমএস
Advertisement