বিসিএস (পরিসংখ্যান) ক্যাডারকে শক্তিশালী করতে হবে। বর্তমানে এ ক্যাডারের মোট পদ সংখ্যা মাত্র ১৬৩টি। এত অল্প সংখ্যক সদস্য দিয়ে ১৬ কোটি জনসংখ্যার এ দেশের পরিসংখ্যান প্রণয়ন করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তাই স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এ ক্যাডারের পদসংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়নে সময়োচিত পরিসংখ্যান প্রাপ্তিতে ব্যঘাত ঘটবে।সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর কনফারেন্স রুমে বিসিএস (পরিসংখ্যান) ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় এ দাবি জানান বক্তারা। ইফতার মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কে এম মোজাম্মেল হক ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ। সভাপতিত্ব করেন বিসিএস (পরিসংখ্যান) ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহ্মেদ।এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো: সফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব এম এ মান্নান হাওলাদার, বিবিএস এর উপমহাপরিচালক মো: বাইতুল আমীন ভূঁইয়া, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী এবং বিবিএস ও পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।বক্তারা বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিবিএস বাংলাদেশ সরকার, উন্নয়ন সহযোগী ও অংশীজনদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন শুমারি ও জরিপ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পরিচালনা করে আসছে। এসকল শুমারি, জরিপ ও গবেষণার মধ্যে আদমশুমারি, অর্থনৈতিক শুমারি, কৃষি শুমারি, বস্তিশুমারি, জাতীয় আয় প্রাক্বলন, ভোক্তামূল্য সূচক নির্ণয়, খানা আয় ও ব্যয় জরিপ, দরিদ্রতার হার নিরুপণ, স্বাস্থ্য ও জনতত্ত্ব জরিপ, শ্রমশক্তি জরিপ, মা ও শিশু জরিপ ইত্যাদি উলেখযোগ্য। বিসিএস (পরিসংখ্যান) ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যগণ সবোর্চ্চ পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার সাথে তাদের উপর উপর্যুক্ত দায়িত্বসমূহ পালন করে আসছেন।তারা বলেন, বর্তমান সরকারের ভিশন- ২০২১ বাস্তবায়নে গ্রহণযোগ্য তথ্য উপাত্তের উৎস হিসাবে বিবিএস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বিসিএস (পরিসংখ্যান) ক্যাডার।এমএ/এসকেডি
Advertisement