আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশের একাধিক থানাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে যেসব অস্ত্র লুট হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ অস্ত্র নির্বাচনের আগেই উদ্ধার হবে বলে জানিয়েছে সেনা সদরদপ্তর।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস ডিরেক্টরেটের (স্টাফ কর্নেল) কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম। ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস এ-তে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনের আগে অস্ত্র উদ্ধারের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৮০ শতাংশ অস্ত্র ও গোলাবারুদ আমরা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি ২০ শতাংশ অস্ত্র-গোলাবারুদ নির্বাচনের আগে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।
দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলাকে সেনাবাহিনী কীভাবে মূল্যায়ন করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আগের তুলনায় অনেক ভালো।
Advertisement
সারাদেশে সেনাবাহিনীর যে হটলাইন নম্বর আছে সেগুলো নম্বরে কোনো ধরনের অভিযোগ আসে এবং কীভাবে সমাধান করা হয় এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অধিকাংশ জমিজমা ও টাকা-পয়সা সংক্রান্ত অভিযোগ আসে। সব ধরনের অভিযোগ নেওয়ার পর যাচাই-বাছাই করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
গুমের অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা অনেকেই বিভিন্ন সংস্থায় ডেপুটেশনে থাকে। এ সংস্থাগুলো সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। ডেপুটেশনে থাকা কিছু কিছু সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ এসেছে এবং তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্তে যদি গুমের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ পায় তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সংক্রান্ত সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।
জাতিসংঘের সহায়তায় একটি মানবাধিকার বিষয়ক অফিস বাংলাদেশে খোলার বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, এটি একটি রাষ্ট্রীয় বিষয়। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের নীতি-নির্ধারকরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে মনে করি।
টিটি/এমএএইচ/জেআইএম
Advertisement