বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের প্রায় এক বছর হতে চললেও বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে যারা সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে, পতিত স্বৈরশাসকের দোসর হিসেবে কাজ করেছে, জুলাই আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা করতে দেয়নি এবং জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের নানাভাবে নিপীড়ন করেছে—তারা আজও এই বৈষম্যহীন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যপদগুলোতে বহাল তবিয়তে।
Advertisement
শনিবার (৫ জুলাই) ফুসফুসের জটিল রোগে আক্রান্ত কামরাঙ্গীরচর থানা যুবদলের আহ্বায়ক মো. হুমায়ুন কবিরের ছোট ভাই মো. সেন্টুকে জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি সেন্টুর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি চিকিৎসকদের অনুরোধ করেন, রোগীর সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিতে যেন প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করা হয়।
আরও পড়ুনআওয়ামী দোসররা সংস্কার কমিশনে বড় বড় কথা বলছে: সালাহউদ্দিন আহমদপরে জাতীয় বক্ষব্যাধি, ক্যানসার ও গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে উপস্থিত চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
Advertisement
ডা. রফিক বলেন, জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকরা এখনো তাদের কাঙ্ক্ষিত পদায়ন কিংবা পদোন্নতি পাচ্ছেন না, বরং হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ফ্যাসিবাদের দোসরদের অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় হাজারও শহীদের রক্তে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে এই অবমাননা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি—এই দোসরদের দ্রুত অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বঞ্চিতদের যথাযথ মূল্যায়নের ব্যবস্থা নিন।
এ সময় ড্যাব বক্ষব্যাধি, লেপ্রসি ও ক্যানসার শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. মো. জিয়াউল করিম, সদ্য বিলুপ্ত ড্যাবের সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার লিয়াকত হোসেন বিদ্যুৎ, সহ-দপ্তর সম্পাদক ও বক্ষব্যাধি শাখার সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম খান, ডা. জাকারিয়া মাহমুদ, সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন, ডা. সায়েম ফায়েজি, পরিপাকতন্ত্র বিশেষজ্ঞ ডা. রইস উদ্দিনস, ডা. সৈয়দা নুরে জান্নাতসহ বক্ষব্যাধি, ক্যানসার ও গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/ইএ/জেআইএম
Advertisement