কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা ও কোদালকাটি নদীতে অবৈধভাবে ইলেকট্রিক শক দিয়ে মাছ ধরার সময় দুই জেলেকে হাতেনাতে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
Advertisement
উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে বুধবার (২ জুলাই) রাত ১০টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়।
এসময় নদীতে মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত তিনটি বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার যন্ত্র, ব্যাটারি ও ক্যাবলসহ অন্যান্য সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।
আটক হওয়া দুই জেলে হলেন- ভৈরবের শিমুলকান্দির পাচঘরহাটি এলাকার প্রবির চন্দ্র দাশ এবং ইমামেরচর এলাকার নুরুল ইসলাম।
Advertisement
উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মেঘনা ও কোদালকাটি নদী এলাকার ফেরিঘাট, পাওয়ার হাউজ, কোদালকাটি নদীর পয়েন্ট, রাজাকাটা, শিমুলকান্দি, ইমামেরচর এবং তেয়ারিচরসহ নদীর বিভিন্ন স্পটে অভিযান চালিয়ে দুজনকে বৈদ্যুতিক শকের যন্ত্রসহ আটক করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শবনম শারমিন। এসময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয় বণিক, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান খান, সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা সিহাব উদ্দিন এবং নৌপুলিশের সদস্যরা।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শবনম শারমিন জানান, উপজেলার মেঘনা ও কোদালকাটি নদীসহ বেশকটি নদীতে নিষিদ্ধ বৈদ্যুতিক শক যন্ত্র ব্যবহার করে নির্বিচারে মাছ নিধন করছেন অসাধু ছেলেরা। তারা নদীর তলদেশে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মাছ ধরছিলেন, যা সরাসরি মৎস্য আইনের পরিপন্থি। নদীতে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মাছ ধরা বিপজ্জনক। এতে শুধু মাছ নয়, ডিমপাড়া মাছ, পোনা ও অন্যান্য জলজ প্রাণী যেমন কাঁকড়া, কুচিয়া, শামুক, গুইসাপ পর্যন্ত মারা পড়ে।
রাজীবুল হাসান/জেডএইচ/জিকেএস
Advertisement