দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা ও সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণা করা সংঘবদ্ধ চক্রের আরেক সদস্য সোহাগ পাটোয়ারীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
Advertisement
সোমবার (৩০ জুন) রাজধানীর মুগদা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম।
দুদক জানায়, সোহাগ পাটোয়ারীর বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার দাশপাড়া গ্রামে। তিনি রাজধানীর দক্ষিণ মান্ডা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে ক্যামেরা, বুম, সেলফি স্টিক, মোবাইল এবং সমকাল, এশিয়ান টিভি ও এফসি টিভিসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের নামযুক্ত ভিজিটিং কার্ড জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ স্বীকার করেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে দুদকের চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক ও পরিচালকদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতারণা করতেন। নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিতেন।
Advertisement
গতকাল রোববার (২৯ জুন) এই চক্রের মূলহোতা পিরোজপুর সদর উপজেলার বাদলখালী গ্রামের মো. সেলিম, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার কেশরামপুর গ্রামের মো. তরিকুল ইসলাম, ঢাকার মুগদা এলাকার মো. আতিক ও নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার শায়েস্তানগর গ্রামের মো. আব্দুল হাই সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়।
দুদক আরও জানায়, চক্রটি একটি ভুয়া মিডিয়া ও দুর্নীতি দমন কমিশনের নাম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতো। এই প্রতারণার চক্র সম্পর্কে দুদকের দৃষ্টি যায় ২৪ জুন, যখন ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’র দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। পোস্টটি আমলে নিয়ে দুদক এক পুলিশ সুপার পদমর্যাদার পরিচালকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সহায়তায় চক্রটিকে শনাক্ত করে একে একে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার বিষয়ে রমনা মডেল থানায় রোববার একটি মামলা করা হয়েছে। দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চক্রটির সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তদন্ত চলমান।
এসএম/বিএ/এমএস
Advertisement