ঢাকা থেকে জাপানের নারিতা রুটে আগামীকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) থেকে ফ্লাইট স্থগিত রাখবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বিমানের এয়ারক্রাফট স্বল্পতা ও নারিতায় যাত্রী সংকটের কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
Advertisement
২০২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা-নারিতায় সরাসরি ফ্লাইট চালু করে বিমান। দেড় বছরের মাথায় তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ঢাকা থেকে এয়ারক্রাফটে সরাসরি জাপানে যাওয়ার আর কোনো উপায় থাকলো না। এখন বিদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে ট্রানজিট দিয়ে জাপানে যেতে হবে বাংলাদেশি যাত্রীদের।
এর আগে ১৯৭৯ সালে ঢাকা-টোকিও ফ্লাইট চালু করেছিল বিমান। সেই রুটও কিছুদিন পরে বন্ধ হয়ে যায়। পরে ১৯৮১ সালে ঢাকা-নারিতা রুটে বিমান ফ্লাইট চালাতে শুরু হয়েছিল। এটিও ২০০৬ সালে বন্ধ হয়ে যায়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগ সূত্র জানায়, এবার গত ১৮ মে হুট করে ঢাকা-নারিতা ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দেয় বিমান। ওই ঘোষণায় বলা হয়েছে, আগামীকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) এর পর যে যাত্রীরা বিমানের ফ্লাইটের টিকেট কিনে রেখেছিলেন, তারা চাহিদা অনুযায়ী কোনো বাড়তি খরচ ছাড়াই পুরো অর্থ ফেরত নিতে পারবেন। এ জন্য যাত্রীদের বিমানের নিজস্ব সেলস অফিস বা কাউন্টার ও সংশ্লিষ্ট এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী যাত্রীদের অধিকাংশজনই টিকিটের টাকা ফেরত নিয়েছেন।
Advertisement
গত ২৬ জুন বিমানের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড. মো. সাফিকুর রহমান বলেন, আগামী ১ জুলাই থেকেই বন্ধ হচ্ছে ঢাকা-নারিতা ফ্লাইট। একাধিক রুট পর্যালোচনা করে কোনোভাবেই লাভজনক না হওয়ায় বোর্ডের এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে এয়ারক্রাফট স্বল্পতাও রয়েছে। তাই এয়ারবাস ও বোয়িং দুটি প্রতিষ্ঠানের ১৪টি নতুন এয়ারক্রাফটের প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে বিমান। পাশাপাশি নতুন এয়ারক্রাফট দেরি হওয়ায় আপাতত ২টি লিজ নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এমএমএ/এসএনআর/জেআইএম