বিচারপ্রার্থী যখন আইনজীবী পরিবর্তন করতে চান তখন অনেক ঝামেলায় পড়তে হয় বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, একটা অভিযোগ মাঝে মাঝে শুনি, কিছু আইনজীবী হয়ত মামলা ঠিকভাবে পরিচালনা করছেন না। কেউ (বিচারপ্রার্থী) যখন আইনজীবী পরিবর্তন করতে চান তখন অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়। এই ধরনের জিনিসগুলো বিশেষ করে কিছু আইনজীবীর জন্য পুরো আইনজীবী সমাজের দুর্নাম আমরা দেখতে চাই না।
Advertisement
সোমবার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের রেস্ট হাউজ ও ক্যান্টিন উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, বাংলাদেশের অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ল’ কোর্স চালু আছে, তবে সব জায়গাতে মানসম্মত শিক্ষা দেওয়া হয় না। এনরোলমেন্ট (আইনজীবী তালিকাভুক্তি) পরীক্ষা নিয়ে আগে অনেক অভিযোগ শুনতাম। এনরোলমেন্ট পরীক্ষা নেওয়া, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা এবং এর অ্যাসেসমেন্ট- এসব জায়গায় যদি আপনারা আরেকটু কাজ করেন তাহলে আমাদের আইন পেশার দক্ষতা বাড়বে এবং তা কাজে দেবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি বিগত সময়ে আইনজীবীরা কী ভূমিকা রেখেছেন। ছাত্র-জনতার অসাধারণ আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ পেয়েছি, যেন সব সেক্টরেই সেটিকে কাজে লাগাতে পারি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাদের বিষয়ে যেন আপনারাই ব্যবস্থা নিতে পারেন।
Advertisement
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, হাউজ কমিটির চেয়ারম্যান মো. মহসিন মিয়া, ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান এ এস এম বদরুল আনোয়ার, ল’ রিফর্ম কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এনায়েত হোসেন, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড লিগ্যাড এইড কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. শফিকুল ইসলাম, রোল অ্যান্ড পাবলিকেশন কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাইনুল আহসান, বার কাউন্সিলের সদস্য ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট শাহ মো. খসরুজ্জামান, বার কাউন্সিলের সচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদার প্রমুখ।
এফএইচ/এমআইএইচএস/জিকেএস