আন্তর্জাতিক

কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল কলকাতার রাজপথ

কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল কলকাতার রাজপথ

পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ কলকাতার ল’কলেজে আইন বিভাগের ২৪ বছর বয়সী প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল কলকাতার রাজপথ। একের পর এক গণসংগঠনের পক্ষ থেকে কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মশাল হাতে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন বিভিন্ন গন সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা।

Advertisement

কলকাতার গড়িয়াহাট মোড় থেকে সমাজ কর্মীদের একটি মিছিল বের হয়েছে। সেখানে এক হাতে মশাল, অন্য হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘ছি: মমতা’ এবং শ্লোগান ওঠে, এই রাজ্যের কন্যারা আজ নিরাপদ নয়। ল’কলেজের ঘটনা তারই প্রমাণ। আমরা এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাস্তায় থাকব।

ঘটনার প্রতিবাদে কসবা খানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় নারী ‘ঐক্য মঞ্চ’। গত রোববার ২৯ জুন গভীর রাত পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ। সেখান থেকে আরজিকরের মতো ‘আমরা বিচার চাই’ স্লোগান ওঠে। পরবর্তীতে সেখান থেকে একটি মিছিল বের হয়। ওই মিছিল গরিয়াহাট হয়ে সামনে গেলে পুলিশ তাদের মিছিলের পথ আটকায়। সেখানে বসেই আন্দোলনকারীরা স্লোগান-দিতে থাকে।

এই ঘটনার পরেই দক্ষিণ কলকাতা ল’কলেজে পরিদর্শনে যান জাতীয় মহিলা কমিশন। প্রথমে কসবা থানায় যান জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন অর্চনা মজুমদার। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে এসে সাউথ কলকাতার ল’কলেজে পৌঁছান জাতীয় মহিলা কমিউনিকেশনের প্রতিনিধিরা।

Advertisement

এরইমধ্যে কলকাতার ল’কলেজের সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ল’কলেজের সাবেক সাবেক ও বর্তমান দুই শিক্ষার্থী এবং ওই কলেজের এক নিরাপত্তারক্ষীকে গ্ৰেফতার করেছে কসবা থানার পুলিশ।

পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মনোজ ভার্মা, বিনীত গোয়েল, রাজীব কুমার-কেউ আমাদের আন্দোলনকে আটকালে আইনানুগ পদক্ষেপ নেব।

শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, গত বছর ৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটে। আজও বিচারহীন এক বছর পেরিয়ে গেল। আমরা সেই নির্যাতিতার বাবা-মার কাছে অনুরোধ করব ৯ আগস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিতে। দলমত নির্বিশেষে এই আহ্বান জানাচ্ছি।

বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারীর স্পষ্ট ঘোষণা, পরবর্তী এক সপ্তাহ ধরে ‘কন্যার সুরক্ষা যাত্রা’ জ্বলবে রাজ্যজুড়ে। কন্যাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে রাজ্য সরকারকে ঘুমোতে দেব না।

Advertisement

ডিডি/টিটিএন