দেশের পুঁজিবাজারে বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার মানেই ছিল বিনিয়োগের নিরাপদ আশ্রয়। আন্তর্জাতিক মান, স্থিতিশীল আয় ও আকর্ষণীয় লভ্যাংশের কারণে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ছিল এসব কোম্পানির ওপর। বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের বড় অংশই থাকতো বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারে।
Advertisement
সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সেই আস্থাও এখন টালমাটাল। আস্থা সংকটে শক্ত মৌলভিত্তির বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারও বিক্রি করে দিচ্ছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১১টিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ রয়েছে। এর মধ্যে চলতি বছরের পাঁচ মাসে আট কোম্পানির শেয়ারের একটি অংশ তারা বিক্রি করে দিয়েছেন। বর্তমান (২৯ জুন) বাজারদর অনুযায়ী তাদের বিক্রি করা শেয়ারের মূল্য ১০৩ কোটি ৫৪ লাখ ২৮ হাজার টাকার বেশি।
বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যেসব বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করেন, তার মধ্যে রয়েছে— রেকিট বেনকিজার, ম্যারিকো, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বাটা সু, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, আরএকে সিরামিকস, সিঙ্গার বাংলাদেশ এবং গ্রামীণফোন। অপরদিকে বার্জার পেইন্টস, ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার এবং হাইডেলবার্গ সিমেন্টে বিদেশিদের বিনিয়োগ থাকলেও চলতি বছর শেয়ার ধারণে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
Advertisement
বিদেশিদের শেয়ার বিক্রি করার বড় একটি কারণ টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া। আরেকটি বড় কারণ ফ্লোর প্রাইস। ফ্লোর প্রাইসের কারণে অনেকদিন শেয়ার বিক্রি করা যায়নি। ফ্লোর প্রাইস ওঠার কারণে বিক্রির সুযোগ সৃষ্টি হয় এবং অনেকেই লোকসানে শেয়ার বিক্রি করেন।-ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম
বিশ্লেষকরা বলছেন, আস্থার সংকটে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করছেন। এর অর্থ এই নয় যে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। বরং বেশির ভাগ বহুজাতিক কোম্পানি ভালো মুনাফার ধারা ও লভ্যাংশ দেওয়ার প্রবণতা ধরে রেখেছে। কিন্তু ডলারের দামের অস্থিরতা, দেশের ভিতরের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে বেঁধে দেওয়া ফ্লোর প্রাইস বিদেশিদের শেয়ারবাজারের ওপর থেকে আস্থা নষ্ট করে দিয়েছে। এ কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা লোকসানেও শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন।
বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে চলতি বছর বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সবচেয়ে বেশি বিক্রি করেছেন ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৭ লাখ ৮২ হাজার শেয়ার বিক্রি করেছেন বিদেশিরা। বর্তমান বাজারদর হিসেবে এই শেয়ারের মূল্য ৫০ কোটি ৮২ লাখ ২৬ হাজার ৪০০ টাকা।
বিদেশিরা শেয়ার বিক্রি করলেও ১৯৭৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এ কোম্পানিটি নিয়মিত বিনিয়োগকারীদের বড় লভ্যাংশ দিচ্ছে। সবশেষ ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে ২০২৩ সালে ১০০ শতাংশ, ২০২২ সালে ২০০ শতাংশ, ২০২১ সালে ২৭৫ শতাংশ, ২০২০ সালে ৬০০ শতাংশ নগদ ও ২০০ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং ২০১৯ সালে ৪০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।
Advertisement
বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে দাপটের সঙ্গে ব্যবসা করা রেকিট বেনকিজারের ৪৮ হাজার ৬৬৮টি শেয়ার বিক্রি করেছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী তাদের বিক্রি করা শেয়ারের মূল্য ১৬ কোটি ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৫৮ টাকা।
১৯৮৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এই কোম্পানিটি সবশেষ ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের তিন হাজার ৩৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে ৫৫০ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ৯৮০ শতাংশ, ২০২১ সালে ১ হাজার ৬৫০ শতাংশ, ২০২০ সালে ১ হাজার ৪০০ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ১ হাজার ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় এ কোম্পানিটি।
বিদেশিদের শেয়ার বিক্রি করার সবচেয়ে বড় কারণ বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা না থাকা। এছাড়া ফ্লোর প্রাইস এবং দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিও কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে।- মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আশিকুর রহমান
সিঙ্গার বাংলাদেশেরও বড় অঙ্কের শেয়ার বিক্রি করেছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। চলতি বছরে কোম্পানিটির ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৯২৯টি শেয়ার বিক্রি করেছেন বিদেশিরা। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী তাদের বিক্রি করা শেয়ারের মূল্য ১৫ কোটি ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৯১৮ টাকা।
আরও পড়ুনবহুজাতিকেও ধরাশায়ী বিনিয়োগকারীরাচকলেটের দামে মিলছে ব্যাংকের শেয়ার!অবশেষে শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারী বাড়ছে১৯৮৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এ কোম্পানিটি সবশেষ ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে ৩৫ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ১০ শতাংশ, ২০২১ সালে ৬০ শতাংশ, ২০২০ সালে ৩০ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ৭৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।
ম্যারিকো বাংলাদেশের ৩৭ হাজার ৮০০ শেয়ার বিক্রি করেছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী এই শেয়ারের দাম ৯ কোটি ১৮ লাখ ১২ হাজার ৪২০ টাকা। ২০০৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এ কোম্পানিটি সবশেষ চলতি বছরের ৩১ মার্চ সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের তিন হাজার ৮৪০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে ২০২৪ সালে ২০০ শতাংশ নগদ, ২০২৩ সালে ৭৫০ শতাংশ, ২০২২ সালে ৮০০ শতাংশ, ২০২১ সালে ৯০০ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ৯৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
বিদেশি বিনিয়োগকারীরা লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের শেয়ার বিক্রি করেছেন চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৪৯টি। বর্তমান বাজারদরে এই শেয়ারের মূল্য দুই কোটি ২১ লাখ ১২ হাজার ৫৩২ টাকা। ২০০৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এ কোম্পানিটি সবশেষ ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ৩৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে ৫০ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ৪৮ শতাংশ, ২০২১ সালে ২৫ শতাংশ, ২০২০ সালে ১০ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় এ কোম্পানিটি।
বিদেশিরা গ্রামীণফোনেরও বড় অঙ্কের শেয়ার বিক্রি করেছেন। চলতি বছর এ কোম্পানিটির দুই লাখ ৭০ হাজার ৬০টি শেয়ার বিক্রি করেছেন তারা। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী এই শেয়ারের মূল্য ৮ কোটি ১৯ লাখ ৬৩ হাজার ২১০ টাকা।
২০০৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া গ্রামীণফোন সবশেষ ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ৩৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে ১২৪ শতাংশ, ২০২২ সালে ২২০ শতাংশ, ২০২১ সালে ২৫০ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ২৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির তালিকায় আরও রয়েছে বাটা সু এবং আরএকে সিরামিকস। এর মধ্যে বাটা সু’র ১৯ হাজার ১৫২টি শেয়ার বিক্রি করেছেন বিদেশিরা। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী বিক্রি করা শেয়ারের মূল্য ১ কোটি ৫৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৬২ টাকা।
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের বড় অংশই ছিল বহুজাতিক কোম্পানিতে। যখন ফ্লোর প্রাইস দেওয়া হয়, তারপর আমাদের শেয়ারবাজারের ওপর থেকে বিদেশিদের সম্পূর্ণরূপে একটা অনাস্থা চলে আসে। যার কারণে অনেকে হিউজ শেয়ার বিক্রি করেছেন, যখন ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হয়েছে তখন থেকেই।- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক রিচার্ড ডি’ রোজারিও
১৯৮৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানিটি সবশেষ ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে ১০৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে ৪৩৫ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ৩৬৫ শতাংশ, ২০২১ সালে ৭৫ শতাংশ, ২০২০ সালে ২৫ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।
বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল আরএকে সিরামিকস। চলতি বছরে এ কোম্পানিটির ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৯০টি শেয়ার বিক্রি করেছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী তাদের বিক্রি করা শেয়ারের মূল্য ২৫ লাখ ১৬ হাজার ৪৪৪ টাকা।
২০১০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এ কোম্পানিটি সবশেষ ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে ১০ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ১০ শতাংশ, ২০২১ সালে সাড়ে ১২ শতাংশ, ২০২০ সালে ১০ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।
বিদেশিদের বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার বিক্রির কারণ হিসেবে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিদেশিদের শেয়ার বিক্রি করার বড় একটি কারণ টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া। আরেকটি বড় কারণ ফ্লোর প্রাইস। ফ্লোর প্রাইসের কারণে অনেকদিন শেয়ার বিক্রি করা যায়নি। ফ্লোর প্রাইস ওঠার কারণে বিক্রির সুযোগ সৃষ্টি হয় এবং অনেকেই লোকসানে শেয়ার বিক্রি করেন।’
লোকসানে বিক্রি করার কারণ কী থাকতে পারে? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘বাজার নন-কমপ্লায়েন্স হয়ে পড়ে। নন-কমপ্লায়েন্স হয়ে পড়লে তখন লস বা লাভ বিষয় হয় না। নন-কমপ্লায়েন্স হয়ে গেলে তাদের কমপ্লায়েন্স ডিপার্টমেন্ট বলে এখান থেকে বের হয়ে যাও। ফ্লোর প্রাইস বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ভীষণভাবে নষ্ট করে দেয়। আস্থা নষ্ট হওয়ার কারণে ফ্লোর প্রাইস ওঠার পর তারা লোকসানে শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন।’
মিডওয়ে সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আশিকুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করার প্রধান কারণ হলো ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হওয়া। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যখন বিনিয়োগ করে, তারা শুধু ফান্ডামেন্টাল দেখে না, তারা ডলার ও টাকার রিলেশনশিপও দেখে। তারা যদি মনে করে ডলারের বিপরীতে টাকা আরও অবমূল্যায়িত হবে, তখন কিন্তু তারা বিক্রির চাপ বাড়াতে পারেন।’
তিনি বলেন, ‘ডলারের বিপরীতে টাকা অবমূল্যায়িত হলে ভালো লভ্যাংশ পাওয়ার পরও কিন্তু বিদেশিদের লোকসান হয়ে যেতে পারে। এ কারণে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত তিন বছরে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল নয়। এ কারণে অনেক বিনিয়োগকারী ফান্ড তুলে নিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘যেসব বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার বিদেশিরা বিক্রি করেছেন, তার বেশির ভাগ কনজ্যুমার কোম্পানি। আমাদের কনজ্যুমার সেক্টর কিন্তু মোটামুটি শক্তিশালী আছে। মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, সুদের হার বেড়েছে, তবু এসব কোম্পানি ভালোভাবে অপারেট করছে। তাদের প্রফিট মার্জিন গ্র্যাজুয়ালি ফল করেনি।’
এই শেয়ারবাজার বিশ্লেষক বলেন, ‘বিদেশিদের শেয়ার বিক্রি করার সবচেয়ে বড় কারণ বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা না থাকা। এছাড়া ফ্লোর প্রাইস এবং দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিও কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে।’
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক রিচার্ড ডি’ রোজারিও জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের বড় অংশই ছিল বহুজাতিক কোম্পানিতে। যখন ফ্লোর প্রাইস দেওয়া হয়, তারপর আমাদের শেয়ারবাজারের ওপর থেকে বিদেশিদের সম্পূর্ণরূপে একটা অনাস্থা চলে আসে। যার কারণে অনেকে হিউজ শেয়ার বিক্রি করেছেন, যখন ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হয়েছে তখন থেকেই। অনেকেই দাম দেখেননি। তারা মনে করছেন এটা একটা অসুস্থ মার্কেট। যে মার্কেটে এন্ট্রি আছে কিন্তু এক্সিট নেই, সেই মার্কেটে আমাদের এন্ট্রি নেওয়ার দরকার নেই। এ কারণে আমাদের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ বড় আকারে কমে গেছে।’
এমএএস/এএসএ/এমএফএ/জেআইএম