ওড়িশার পুরীতে জগন্নাথ রথযাত্রা চলাকালীন ভয়াবহ পদদলিতের ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ২ জন নারী রয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
Advertisement
ঘটনাটি ঘটেছে গুন্ডিচা মন্দিরের কাছে। এটি জগন্নাথ মন্দির থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
ভোরে বড় সংখ্যক ভক্ত গুন্ডিচা মন্দিরে ‘দর্শন’-এর জন্য জমা হয়েছিলেন। এই সময় হঠাৎ ভিড় বেড়ে গেলে কিছু লোক পড়ে যান এবং তার ফলে পদদলিতের ঘটনা ঘটে। প্রভাতী দাস, বাসন্তী সাহু ও ৭০ বছর বয়সী প্রেমকান্ত মহান্তি নামে তিনজনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। জানা গেছে, তারা সবাই খুরদা জেলা থেকে এসেছিলেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের দাবি, পুলিশের ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা ছিল অপর্যাপ্ত। ঘটনার সময় নিরাপত্তা বাহিনী ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খায়।
Advertisement
পুরীর কালেক্টর সিদ্ধার্থ শঙ্কর স্বাইন জানান, মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, যদিও উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল, তবে হঠাৎ করে জনতার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রতিবছর রথযাত্রায় ভক্তরা রথ টেনে গুন্ডিচা মন্দির পর্যন্ত নিয়ে যান, পরে তারা জগন্নাথ মন্দিরে ফিরে আসেন।
এই দুর্ঘটনার পাশাপাশি রথযাত্রা দেরিতে শুরু হওয়া নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে।
বিজেডি প্রধান ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক বলেন, এবারের এই পবিত্র উৎসবের ওপর যে ছায়া নেমেছে, তার জন্য শুধুই প্রার্থনা করা ছাড়া কিছু করার নেই। মহাপ্রভু জগন্নাথ যেন সকলকে ক্ষমা করেন যাদের কারণে এই বিশৃঙ্খলা ঘটেছে।
Advertisement
অন্যদিকে, রাজ্যের আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন নাম না করেই নবীন পট্টনায়েকের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, বিজেডি সরকার অতীতে ভুল করেছে ও ভগবান জগন্নাথকে অপমান করেছে। ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর রথযাত্রার দ্বিতীয় দিনেই রথ গুন্ডিচা মন্দিরে পৌঁছেছে।
পুরীর এই ট্র্যাজেডি শুধুমাত্র শোক নয়, বরং জননিরাপত্তা ও রাজনৈতিক জবাবদিহিতা নিয়েও বড় প্রশ্ন তুলে দিলো।
সূত্র: এনডিটিভি
এমএসএম