দেশজুড়ে

টেকনাফে বৃষ্টি-পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ হাজার মানুষ

টেকনাফে বৃষ্টি-পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ হাজার মানুষ

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড় ধস, পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সহায়তাসহ নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা লোকজনদের দৈনিক তিনবেলা খাবার দিচ্ছে প্রশাসন।

Advertisement

স্থানীয়রা জানান, টানা সপ্তাহ জুড়ে ভারী বৃষ্টিপাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং পানিবন্দি রয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। সেইসঙ্গে পাহাড়ধসে ৭টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা বসবাসকারীদের মাঝে দৈনিক তিনবেলা খাবার দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, মঙ্গলবার সকালে হোয়াইক্যং লম্বাবিলে পাহাড় ধসে ৭টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি। এ ঘটনার খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা ও নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে। যেসব গ্রামে পানিবন্দি মানুষ, তাদেরকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আলী বলেন, আমার ইউনিয়নের চার-পাঁচটি গ্রামের পানিবন্দি ৩০০-৪০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তায় দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন পানি আস্তে আস্তে নেমে নদীতে চলে যাচ্ছে।

Advertisement

সাবরাংয়ের বাসিন্দা আমির হামজা বলেন, আমাদের গ্রামের সঙ্গে সাগর। ভারী বৃষ্টিপাতে ও জোয়ারের পানি ঢুকলে দ্রুত পানি সরে যেতে পারে না। গত কয়েকদিন ধরে পানিবন্দি ছিলাম। তবে কিছু কিছু ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছি। আমাদের গ্রামে কয়েক হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

টেকনাফ মায়মুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয়ে থাকা রোজিনা আক্তার বলেন, আমরা ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকা থেকে সরে এই বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছি। আমাদেরকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নিজেদের ঘরে চলে যাবো।

এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহেসান উদ্দিন বলেন, টানা ভারী বৃষ্টিপাতে টেকনাফ উপজেলার ৩০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া শুরু করেছি। আর সেন্টমার্টিনে চাল পাঠানোর জন্য মঙ্গলবার সকালে ট্রলার ভর্তি চাল তোলা হয়েছে। চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে চাল নিয়ে যেতে। সাগরের আবহাওয়া পরিস্থিতি দেখে চাল দ্বীপে নিয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, ভারী বৃষ্টি কমে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এখন কিছু কিছু গ্রামে পানি নামতে শুরু করেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।

Advertisement

জাহাঙ্গীর আলম/এফএ/জেআইএম