জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে অপসারণ ও প্রতিহিংসামূলক বদলি আদেশ বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও কলমবিরতি পালন করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। চলমান আন্দোলনের মধ্যে রাজস্ব ভবনে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে রাজস্ব ভবনের দুই গেট। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ৯টা থেকে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এনবিআরের প্রধান কার্যালয়সহ সারাদেশের রাজস্ব ভবনে চলে এ কর্মসূচি। তবে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রফতানি কার্যক্রম এ কর্মসূচির আওতামুক্ত রয়েছে।
তবে দুপুর ১২টা থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবন অবরুদ্ধ করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কাউকে ভবনের ভেতরে ঢুকতে ও বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।
একাধিক কর্মকর্তা জানান, দুপুর ১২টার দিকে ভবনের দুই গেটে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য মোতায়েন করা হয়। তারা গেট বন্ধ করে দিয়েছেন। সেবাপ্রার্থী, সাংবাদিক, কর্মকর্তা কেউই প্রবেশ করতে পারছেন না।
Advertisement
চেয়ারম্যানের অপসারণ ও এনবিআরের যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছেন এনবিআর কর্মকর্তারা। আজও রাজস্ব ভবনে সমবেত ও কলমবিরতি কর্মসূচি করছেন তারা। কর্মকর্তাদের অভিযোগ, কর্মকর্তাদের সমবেত হওয়া ঠেকাতে এনবিআর ভবন অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতারা বলছেন, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাসান মোহাম্মদ তারেক রিকাবদারসহ অন্যান্যরা এনবিআর ভবনে প্রবেশ করতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। বলা হয়- আলোচনা করে সমাধান করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার বলেন, অর্থ উপদেষ্টা ডাকার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনায় বসবো। আমরা সব ধরনের আইন মেনে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করছি। আমার অফিসে আমি কেন ঢুকতে পারবো না? আমরা আলোচনা প্রত্যাখ্যান করিনি, প্রকৃত বিষয় হচ্ছে আমাদের আলোচনায় ডাকা হয়নি। আজ যাদের ডাকা হয়েছে কর ও কাস্টমস ক্যাডারের প্রতিনিধি। কিন্তু প্রতিনিধি মনোনয়ন দেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান চেয়ারম্যান। তিনি তাদের মনোনয়ন দিয়েছেন যারা আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এবং আন্দোলনকে নানাভাবে ব্যাহত করার চেষ্টা করেছেন। আমাদের ডাকলে আমরা আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে অবশ্যই যাবে।
এর আগে বুধবার (২৫ জুন) এনবিআর চেয়ারম্যান অপসারণের এক দফা দাবি আদায়ে ২৮ জুন লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউনের পাশাপাশি ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
Advertisement
এসএম/এমএএইচ/জেআইএম