দেশজুড়ে

অবৈধ দখলে গলিতে রূপ নিয়েছে সড়ক

অবৈধ দখলে গলিতে রূপ নিয়েছে সড়ক

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়নের মাড়কোনা থেকে মোকামবাজার পর্যন্ত সড়কটির দুই পাশ দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল হয়ে রয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির পাশে একের পর এক গড়ে উঠেছে স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকান, নির্মাণ সামগ্রীর স্তূপ, বসতঘরের অংশ, এমনকি খোলা বাজারের অস্থায়ী স্টলও। এতে সড়কের প্রস্থ কমে গিয়ে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, দুর্ঘটনা ও অসহনীয় দুর্ভোগ।

Advertisement

এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন স্কুলগামী শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষ, কৃষিপণ্যবাহী যানবাহন, সিএনজি অটোরিকশা, পিকআপসহ শত শত যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু সড়কের বেশিরভাগ জায়গা দখল হয়ে থাকায় দুইটি যান একসঙ্গে চলতে পারে না। ফলে প্রতিদিনই সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট, সময় অপচয় এবং ভোগান্তি।

এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে মাড়কোনা-মোকামবাজার সড়কের দুই পাশ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জনগণের চলাচলের পথ উন্মুক্ত করা হোক। সড়ক জনগণের, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নয়। এই বার্তা নিয়েই প্রশাসনের এখনই মাঠে নামা জরুরি।

স্থানীয় ব্যবসায়ী সালেহ আহমদ বলেন, সড়কটি দখল হয়ে এমন সংকীর্ণ হয়ে গেছে যেন গলিপথ। হেঁটে চলাও কষ্টকর। দুর্ঘটনার ঝুঁকি সবসময় থাকে।

Advertisement

স্কুলশিক্ষক মোছা. হালিমা খাতুন জানান, ছাত্রছাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে আসে। সকাল-বিকেল যানজট আর ধুলাবালিতে হাঁটা যায় না। কতবার যে অভিযোগ করেছি, কোনো কাজ হয় না।

অপরদিকে সড়কের আশপাশের একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী নিজেদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন জায়গায় দোকানপাট ও স্থাপনা গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এলজিইডির সম্পত্তি হলেও কার্যত প্রশাসনের নজরদারির অভাবে এসব অবৈধ স্থাপনা দিনে দিনে আরও বিস্তৃত হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, শুধু উচ্ছেদ নয়, প্রশাসনের উচিত নিয়মিত মনিটরিং করে সড়কের দুই পাশে নতুন করে যেন কেউ দখল করতে না পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়া।

গিয়াসনগর ইউনিয়নের পরিষদের মেম্বার মো. সুহেব আহমদ বলেন, আমি কয়েকদিন আগে কাগজ অনুযায়ী সড়কটি মেপে দেখেছি ৩০ ফুট প্রশস্ত থাকার কথা এই জায়গায় এখন রাস্তা এতটুকু প্রশস্ত নয়। অনেক জায়গা বিভিন্নভাবে দখল হয়ে গেছে। বিশেষ করে বাজার এলাকার খুবই বেহাল দশা। একদিকে সড়ক দখল হয়েছে অপরদিকে সড়ক ভেঙে খানাখন্দ হয়ে গেছে।

Advertisement

মৌলভীবাজার সদর উপজেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন বলেন, এই বিষয়টি আমি অবগত হলাম। যত দ্রুত সম্ভব এটি পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

ওমর ফারুক নাঈম/এফএ/এএসএম