আইন-আদালত

সাবেক সিইসি আউয়াল ও নূরুল হুদার ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

সাবেক সিইসি আউয়াল ও নূরুল হুদার ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

প্রহসনের নির্বাচনের মামলার রাষ্ট্রদ্রোহের ধারায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও কে এম নূরুল হুদার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ। এ মামলায় চারদিনের রিমান্ডে আছেন নূরুল হুদা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার এ আবেদন করেন। এ বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি হবে।

প্রহসনের নির্বাচনের অভিযোগে সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিএনপি। দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মামলা, গুম, খুন ও তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়ক সালাহ উদ্দিন খান বাদী হয়ে গত রোববার (২২ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা এ মামলা করেন। এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহের ধারাটি যুক্ত করার আবেদন করা হয়।

এ মামলায় এরই মধ্যে গতকাল বুধবার মগবাজার থেকে হাবিবুল আউয়াল ও গত রোববার উত্তরা থেকে নূরুল হুদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত সোমবার নূরুল হুদার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

Advertisement

গত ২২ জুন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না করে উল্টো ভয়-ভীতি দেখিয়ে জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে মামলা করে বিএনপি। বুধবার (২৫ জুন) এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়।

আরও পড়ুন সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের যে সাজা হতে পারে, কী আছে আইনে

এ মামলায় গত ২২ জুন সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে ‘মব’ তৈরি করে আটক করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, লুঙ্গি পরিহিত সাবেক এ সিইসিকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয় জনতা। পরে তাকে উত্তরা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওইদিন রাতেই তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরদিন সোমবার আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

প্রহসনের নির্বাচনের অভিযোগে বিএনপির করা ২২ জুনের মামলায় আসামি হিসেবে যে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে সাবেক তিন সিইসি ছাড়াও রয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকারসহ অন্য সরকারি কর্মকর্তারা।

২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার শাহাদাত হোসেন চৌধুরীকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।

Advertisement

একই ভাবে ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য আসামিরা আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন করে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী ঘোষণা করেন বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এমআইএন/এমকেআর/জিকেএস