কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে রোড ডিভাইডার ও সড়ক প্রশস্ত কাজে অনিয়ম ধরেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।
Advertisement
বুধবার (২৫ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় হাসনাত আব্দুল্লাহ কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের তার নিজ উপজেলা দেবিদ্বার অংশের ডিভাইডার ও সড়কের দুই পাশে তিন ফুট করে প্রশস্তের কাজে অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অনিয়ম ধরেন।
হাসনাত জানান, সড়কের চলমান কাজে অনিয়ম হয়েছে। প্রশস্তের কাজ সম্পূর্ণ করার আগেই খানাখন্দ ও ইটের সলিং উঠে গেছে এবং রোড ডিভাইডারের রড, সিমেন্ট ব্যবহারেও অনিয়ম রয়েছে।
তিনি বলেন, দেবিদ্বারের যানজট নিরসন, জনভোগান্তি লাঘবে কাজটির উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু এটি জনগণের কোনো উপকারে আসেনি। কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। এ সময় তিনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটর ও সওজের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন।
Advertisement
আরও পড়ুন
হাতের টানেই উঠে যাচ্ছে সড়কের কার্পেটিং, রেগে গেলেন হাসনাতএর আগে সোমবার (২৩ জুন) দেবিদ্বারে একটি সড়কের কাজে অনিয়ম দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। সড়কটি তার নিজ এলাকা সদরের সুবিল, ফতেহাবাদ, রসুলপর ইউনিয়নের প্রায় ২০ গ্রামের মানুষের যোগাযোগের অন্যতম সড়ক। দীর্ঘদিন কাজটি সম্পন্ন না করায় স্থানীয়রা চরম দুর্ভোগে পড়েন। পরে সড়কে কার্পেটিং করার পর হাত দিয়ে টান দিলেই উঠে আসতে দেখে স্থানীয়রা বিষয়টি হাসনাত আব্দুল্লাহকে জানান।
অভিযোগ পেয়ে তিনি ওইদিন বিকেলে ঘটনাস্থলে যান। তিনি দেখতে পান সদ্য কার্পেটিং করা সড়কের পিচগুলো হাত দিয়ে টান দিলেই হাতে চলে আসে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীদেরও হাত দিয়ে টেনে কার্পেটিং তুলতে দেখা যায়।
পরে হাসনাত বিষয়টি স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর মুরাদনগরের এক কর্মকর্তাকে ফোনে অবগত করেন। পরে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি কাজটি বন্ধ করে দেন। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে যান উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ চন্দ্র সরকার। তিনি বিষয়টি নিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহর সঙ্গে কথা বলেন এবং কাজটি পুনরায় করবেন বলে জানান।
Advertisement
জাহিদ পাটোয়ারী/ইএ