রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় রোববার ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন আয়োজনকারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদর বিরুদ্ধ মামলা দায়ের করে বিএনপি। তার পরিপ্রেক্ষিতেই গতকাল (রোববার) রাতে গ্রেফতার করা হয় ২০১৮ সালের নির্বাচনকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কে এম নূরুল হুদাকে। বিতর্কিত ২০১৪ ও ২০২৪ সালর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদেরও যেকোনো সময় আটক করা হতে পারে।
Advertisement
২০২৪ সালে আওয়ামী লীগের দলীয় ও একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদর মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করে ‘আমি-ডামি’ ভোট উপাধি পায় কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। এই কমিশনারের বেশিরভাগ কার্যক্রম নিয়েই হয়েছিল চরম বিতর্ক। ওই নির্বাচনে ভোটের হার নিয়েও বড় ধরনের বিতর্ক হয়।
ভোটের দিন বেলা ৩টা পর্যন্ত ২৭ দশমিক ১৫ ভাগ ভোট পড়ে বলে জানানো হলেও ১ ঘণ্টার ব্যবধান ভোট পড়ার হার বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ দেখানো হয়। অবশ্য ভোটের হার ঘোষণার সময় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রথমে ২৮ শতাংশ ভোট পড়ার কথা বলে পরে তা সংশোধন করে ৪০ শতাংশের কথা বলেন।
আরও পড়ুন শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন সিইসির বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা গ্রেফতারছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চুপসে যায় হাবিবুল আউয়াল কমিশন। নতুন সরকারের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করেও তারা সাড়া পায়নি। পরে গণমাধ্যমে একটি খোলা চিঠি লেখেন সিইসি হাবিবুল আউয়াল। তাতেও সাড়া না মিললে ৫ সেপ্টেম্বর সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা পদত্যাগ করন। এরপর থেকেই সিইসি হাবিবুল আউয়াল লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান।
Advertisement
ওই কমিশনের নির্বাচন কমিশনার ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর, রাশেদা সুলতানা ও মো. আনিছুর রহমান। এই কমিশনের সবাই একটি দলের পক্ষে কাজ করেন এবং দলদাস হিসেবে আবির্ভূত হন। তাদের কারো কারো আচারণ ছিল দলীয় ক্যাডারের মতো।
এমওএস/এএমএ/এএসএম