টেস্ট ক্রিকেটে নতুন এক অদ্ভুত পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। ২০২৭-২০২৯ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পাঁচদিনের পরিবর্তে লাল বলের ক্রিকেট হবে চারদিনে। তবে তিনটি দেশের জন্য বাছাই করা কিছু ম্যাচ এখনকার মতোই পাঁচদিনের হবে।
Advertisement
টেস্ট খেলুড়ে ছোট দেশগুলো যাতে আরও বেশি সংখ্যক টেস্ট এবং বড় সিরিজ খেলতে পারে, সে কারণেই টেস্ট ম্যাচে দিন সংখ্যা কমানোর কথা ভাবা হচ্ছে। ফলে আন্তর্জাতিক সূচিতে আরও বেশি দিন পাওয়া যাবে। পাশাপাশি কমবে খরচও।
ইংল্যান্ডের একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে লর্ডসে টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালের সময় একটি বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ। তিনি টেস্টের দিন সংখ্যা কমানোর অনুমোদন দিয়েছেন।
২০২৭-২৯ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্র থেকে চারদিনের টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের কথা ভাবা হচ্ছে। আইসিসি কর্মকর্তারা মনে করছেন, দিনের সংখ্যা কমলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও বাড়বে। টেস্ট ম্যাচের উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাবে।
Advertisement
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আইসিসির সমীক্ষায় দেখা গেছে, অনেক ছোট দেশ সময়সূচি এবং খরচের জন্য টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করতে আগ্রহ দেখায় না। চারদিনের টেস্ট হলে তিন ম্যাচের সিরিজ শেষ করা যাবে তিন সপ্তাহের মধ্যে। ফলে খরচ কমবে, যা ছোট দেশগুলোর টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের আগ্রহ বাড়াতে পারে।
আইসিসি সূত্রে জানা গেছে, চারদিনের টেস্ট ম্যাচে দিনে ৯০ ওভারের পরিবর্তে ৯৮ ওভার খেলা হবে। দলগুলো যাতে অকারণে সময় নষ্ট না করে, সেদিকে নজর রাখা হবে। এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অবশ্য ঘোষণা করেনি আইসিসি।
সব টেস্ট কিন্তু চারদিনের হবে না। ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড নিজেদের মধ্যে যে টেস্ট ম্যাচগুলো খেলবে, সেগুলো এখনকার মতোই পাঁচদিনের হবে। অর্থাৎ অ্যাশেজ বা বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির মতো জনপ্রিয় টেস্ট সিরিজগুলোতে কোনো পরিবর্তন হবে না।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে আইসিসি প্রথম চারদিনের টেস্টকে অনুমোদন দেয়। ২০১৯ এবং ২০২৩ সালে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে চারদিনের টেস্ট খেলেছিল ইংল্যান্ড। গত মাসেও জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে একটি চারদিনের টেস্ট খেলেছেন ইংলিশরা।
Advertisement
তবে ২০২৫-২০২৭ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন চক্রে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। এই চক্রের ২৭টি সিরিজের সব টেস্টই হবে পাঁচদিনের। আইসিসি কর্মকর্তাদের আশা, টেম্বা বাভুমার দলের সাফল্য দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন করে টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে উৎসাহ তৈরি করবে।
আইএইচএস/