চাপ বেড়েছে পাটুরিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাটে। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত মুনাফার লোভে ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চ।
Advertisement
সরেজমিনে দেখা যায়, পাটুরিয়া লঞ্চঘাটে অতিরিক্ত যাত্রীদের চাপ। দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে লঞ্চ ছাড়তে বেশি সময় নেওয়ায় পাটুরিয়া ঘাটে লঞ্চের সংখ্যা কম। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চ। কোনো কোনো লঞ্চের ধারণক্ষমতার চাইতে তিনগুণ বেশি যাত্রী নিয়ে পারাপার হচ্ছে।
মো. সাগর ইসলাম নামের এক যাত্রী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি ঢাকা থেকে ঝিনাইদহ যাবো। ফেরিতে গেলে অনেক দেরি হবে এর জন্য লঞ্চে যাচ্ছি। লঞ্চে অনেক যাত্রী নিচ্ছেন। তারপরও একটু সময় বাঁচাতে লঞ্চে যাচ্ছি।’
মো. আরিফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে যাইতে হবে। লঞ্চে পারলে একটু ঝুঁকি থাকে তবে সময় টা তো কম লাগে। এ কারণেই লঞ্চে পার হচ্ছি।’
Advertisement
ইকবাল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের বাড়ি দৌলতদিয়া ঘাটের পাশে। আমরা সব সময় এইখান দিয়ে পার হতে হয়। আমাদের ভয় করে না। ঈদের কারণে এখন হয়তো লঞ্চে বেশি মানুষ যাতায়াত করছে।’
পাটুরিয়া লঞ্চঘাট পরিচালক পান্নালাল নন্দী জাগো নিউজকে বলেন, ‘যাত্রীর চাপে প্রশাসন ঠেকাতে পারে না। এ কারণে কিছু যাত্রী বেশি যায় লঞ্চে। তাছাড়া লঞ্চের যাত্রী পরিবহনের বিষয়টি বিআইডব্লিউটিএ ও উপজেলা প্রশাসন নির্ধারণ করে। আমাদের যখন বলে তখন আমরা লঞ্চ ছেড়ে দেই।’
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জাগো নিউজকে জানান, ‘আমরা সব সময় অভিযান অব্যাহত রেখেছি। আজকে একটি লঞ্চের মালিককে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করার কারণে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ঈদের আগে ও পরে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানায়, এ বছর ঈদুল আজহায় ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের জন্য পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৮টি লঞ্চ ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ১৫ লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।
Advertisement
মো. সজল আলী/আরএইচ/জেআইএম