দেশজুড়ে

যানচলাচল স্বাভাবিক হলেও বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ

যানচলাচল স্বাভাবিক হলেও বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ

ঈদুল আজহার মাত্র একদিন বাকি। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নারায়ণগঞ্জ ছাড়ছে ঘরমুখো মানুষ। এতে সড়কে যাত্রী ও পরিবহনের চাপ বাড়লেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে পরিবহনগুলোতে নির্ধারিত ভাড়া থেকে অন্তত ৫০-১৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (৫ মে) সকালে মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ের বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি টিকিট কাউন্টারের সামনে অসংখ্য যাত্রী বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিছুক্ষণ পরপর দূরপাল্লার বাসগুলো এসে যাত্রীদের নিয়ে গন্তব্যে ছুটে চলছে। যাত্রীদের অভিযোগ সড়কে যানজটে না পড়লেও বাস কাউন্টার কর্তৃপক্ষ ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। যদিও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কাউন্টার কর্তৃপক্ষ।

ফেনী অভিমুখে যাত্রা করা রহমান মিয়া জানান, পূর্বে তার জেলায় যেতে ৩২০ টাকা ভাড়া লাগলেও আজ সাড়ে ৪০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। নিরুপায় হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই টিকিট ক্রয় করেছেন তিনি।

Advertisement

সিলেটের এক যাত্রী বলেন, ‘গতকাল ছুটি পেয়ে আজ গ্রামে যাচ্ছি। বাস মালিকরা নির্ধারিত ভাড়া থেকে ১০০ টাকা বেশিতে টিকিট বিক্রি করছেন।’

এদিকে বাস কাউন্টারে কর্মরতদের সঙ্গে কথা বললে তারা বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টারে কর্মরত এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা আগের ভাড়াই রাখছি। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।’

সেন্টমার্টিন পরিবহনের মেহেদী হাছান জানান, ‘পূর্বের ভাড়া দিতেই যাত্রীরা গড়িমসি করে। তাই বাড়তি ভাড়া আদায়ের সুযোগ নেই।’

Advertisement

এ বিষয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন বলেন, ‘যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কে আমাদের পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ আসেনি।’

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ জানান, ‘মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আমাদের টিম ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ঢাকা সিলেট মহাসড়কে কাজ করছে।’

যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার প্রশ্নে তিনি বলে, ‘আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি।’

মো. আকাশ/এমএন/এএসএম