জাতীয়

ঈদের পর কর্মচারীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

ঈদের পর কর্মচারীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’ বাতিল করা না হলে ঈদুল আজহার পর কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কর্মচারীরা।

Advertisement

সোমবার (২ জুন) চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবীর এ হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি বলেন, আমরা আনুগত্য, নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলায় বিশ্বাসী। কিন্তু আজকে আমাদের আনুগত্যের বাইরে ঠেলে দেওয়ার যে অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে, আমি এই অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, সরকার কালো অধ্যাদেশ থেকে যে খারাপ বিষয়গুলো আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, সেকারণে শুধু বাংলাদেশ সচিবালয় নয়, সারা বাংলাদেশের সব দপ্তর, সংস্থা ও পরিষেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারীরা ক্ষোভে ফুঁসছে। তারা এই কালো আইনকে ধিক্কার জানাচ্ছে। এই নিবর্তনমূলক কালো আইন প্রত্যাহার করা না পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবে। এ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।

Advertisement

এ কর্মচারী নেতা আরও বলেন, ১৮ লাখ সরকারি কর্মচারী আত্মীয় মিলে মোট ২ কোটি মানুষের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। আজকে সরকারকে এই দুই কোটি মানুষের মুখোমুখি করা হয়েছে এই কালো আইন প্রবর্তন করে। আজ বিভিন্ন জায়গায় অস্থিরতা বিরাজ করছে। সেই অস্থিরতা প্রশমনের কোন উদ্যোগ নেই।

আরও পড়ুন সরকারি চাকরি আইন বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভে কর্মচারীরা 

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে বাদিউল কবীর বলেন, আপনি একজন গুণী মানুষ। আপনি নিরপরাধ, আনুগত্যপরায়ণ কর্মচারীদের মনের কথাটা উপলব্ধি করবেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে এই কালো আইন সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের আদেশ জারি করবেন এবং যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।

ঐক্য ফোরামের এ কো-চেয়ারম্যান বলেন, আরেকটি কথা না বললেই নয়। কর্মচারীদের শান্তি ও শৃঙ্খলাপূর্ণ এবং ভদ্রোচিত আচরণকে আপনারা যদি দুর্বলতা মনে করেন, সেটা আপনাদের জন্য বুমেরাং হয়ে দাঁড়াবে। দেশটা মুসলিম প্রধান দেশ, সামনে কোরবানি ও বাজেট, তাই আমরা কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেইনি।

উপস্থিত কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা যদি ঈদের পরে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেই, তবে আপনারা সবাই থাকবেন তো। তখন সবাই একযোগে বলে ওঠেন-থাকবো।

Advertisement

বাদিউল কবীর আরও বলেন, সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা; প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সেক্টরের কর্মচারীরা ঈদের পরে কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন। উপজেলা, জেলা এবং এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে যেখানে সরকারের কর্মচারীরা কর্মরত আছেন, সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন বাস্তবায়ন করবেন ইনশাআল্লাহ।

আরএমএম/এসএনআর/জিকেএস