রাজনীতি

বিএনপি ১৬ বছর লড়াই করেছে, একদিনেই ৫ আগস্ট আসেনি: মজনু

বিএনপি ১৬ বছর লড়াই করেছে, একদিনেই ৫ আগস্ট আসেনি: মজনু

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু বলেছেন, একদিনেই ৫ আগস্ট আসেনি। এ লড়াই বিএনপি ১৬ বছর ধরে করে আসছে।

Advertisement

তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে বিএনপির অবদান সম্পর্কে জাতি অবগত। গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে গিয়ে বিএনপি নিগৃহীত হয়েছে। অথচ, দুঃখ হয় তখন যখন দেখি অনেক দল পতিত আওয়ামী স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে কখনো একটি বিক্ষোভ মিছিল করেনি, তারাও আজ বড় মুক্তিযোদ্ধা দাবি করছেন।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে ধানমন্ডির সুগন্ধা কমিউনিটি সেন্টারে থানা বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রফিকুল আলম মজনু বলেন, আমরা বিশ্বাস করি জনগণ খুব ভালো জানে কারা স্বৈরাচার, কারা গণতান্ত্রিক। কারা এ দেশে স্বৈরাচার কায়েম করেছিল, কারা স্বৈরাচারকে সমর্থন জুগিয়েছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে।

Advertisement

আরও পড়ুনআদালতকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে হবে: সালাহউদ্দিনআওয়ামী লীগ আমলের সব ওসিকে বরখাস্ত করতে হবে: রাফি

তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবে দেশের সর্বস্তরের রাজনৈতিক দলের সমর্থন ছিল। কিন্তু নিজেদের বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ আন্দোলনে আর কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী বিএনপির মতো এত জীবন বিলিয়ে দেয়নি। আমাদের নেতাকর্মীরা শুধু জুলাই-আগস্টেই সরকারের রোষানলে পড়েনি, দেড় দশক অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছে পতিত স্বৈরশাসক।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন বলেন, গত ১৬ বছর আমরা কখনো খেতে পেরেছি, কখনো পারিনি। অধিকাংশ রাত ঘুমাতে পারিনি। গুম-খুনের প্রতিবাদে রিমান্ডে ছিলাম কতদিন তার হিসাব নেই। সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিদের সঙ্গে আমাদের কারাগারে রেখেছে শেখ হাসিনার পুলিশ। রাজনীতিবিদদের জন্য ব্রিটিশ আমলে যেটুকু সম্মান ছিল, সেটুকুও দেননি শেখ হাসিনা। দেশকে নিজের পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে পরিবারের একচ্ছত্র শাসন কায়েম করেছেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাংগঠনিক টিম প্রধান আবদুস সাত্তার। নগর বিএনপির সদস্য কাবিরুল হায়দার চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দীন অসীম, কেন্দ্রীয় নেতা শেখ রবিউল আলম রবি প্রমুখ।

এমএইচএ/কেএসআর/জেআইএম

Advertisement