দেশজুড়ে

ইজারা নিয়ে হাটের ক্যাশিয়ার ও ক্রেতাদের মধ্যে মারামারি, আহত ২

ইজারা নিয়ে হাটের ক্যাশিয়ার ও ক্রেতাদের মধ্যে মারামারি, আহত ২

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার গোপালপুরে গরুর হাটের ইজারা নিয়ে ইজারাদারের নিয়োগ করা ক্যাশিয়ার ও গরু ক্রেতাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

শনিবার (৩১ মে) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার গোপালপুর গরুর হাটে ইজারা আদায়কালে এ ঘটনা ঘটে।

মারামারিতে ক্রেতাদের হামলায় শহিদুল শেখ (৫৬) ও ভুলু মিয়া (৬৭) নামে হাটের দুই ক্যাশিয়ার আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এদিকে হামলার সময় ক্রেতারা এক লাখ ৯৫ হাজার টাকা ছিনতাই করেছে বলে অভিযোগ ক্যাশিয়ারদের।

ভুক্তভোগী, লিখিত অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপালপুর হাটে গরু বেচাকেনার ইজারার টাকা নিয়ে ক্রেতা লিওন মোল্লা ও রনি মোল্লার সঙ্গে ইজারাদারের ক্যাশিয়ার শহিদুল শেখের কথা কাটাকাটি এবং ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে গরু ক্রেতারা শহিদুলের ওপর হামলা করেন। এসময় অপর ক্যাশিয়ার ভুলু মিয়া এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। এসময় ক্যাশবাক্সে ও হাতে থাকা প্রায় এক লাখ ৯৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এছাড়া আগামী হাটে আরও এক লক্ষ টাকা না দিলে হাট বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। তাৎক্ষণিক আশপাশের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

Advertisement

এ ঘটনায় ক্যাশিয়ার শহিদুল শেখ বাদী হয়ে রনি মোল্লা, লিওন মোল্লা, রাজু ও শওকত মোল্লার নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্তরা স্থানীয় কামার গ্রামের বাসিন্দা।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত লিওন মোল্লা জাগো নিউজকে বলেন, আমরা স্থানীয় বাসিন্দা। গরু কিনতে হাটে যাই। একটি গরু ক্রয় করি। এরপর গরুর হাসিল দিতে যাই ও কিছু টাকা কম দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু তারা কম না নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। তবে কোন মারামারির ঘটনা ঘটেনি। পরে নিজেরা নিজেদের ক্যাশবাক্স ভেঙে আমাদের ওপর দোষ চাপায়। পরে জানতে পারি আমাদের নামে থানায় অভিযোগ করেছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

ইজারাদারের নিয়োগকৃত ক্যাশিয়ার শহিদুল শেখ জাগো নিউজকে বলেন, তারা প্রভাব বিস্তার করে আমাদের মারধর করে। এসময় আমার গরু কেনার নগদ এক লাখ ২০ হাজার টাকা ও ক্যাশবাক্সে থাকা প্রায় ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এছাড়া আগামী হাটে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে হুমকি দেয়। না হলে হাট বন্ধ করারও হুমকি দেয়। আমরা বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছি।

এ বিষয়ে থানার উপপরিদর্শক (এস আই) সুজন বিশ্বাস বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

Advertisement

এন কে বি নয়ন/এমএন/এমএস