দেশজুড়ে

যশোরে আওয়ামী সমর্থিত চেয়ারম্যান কারাগারে

যশোরে আওয়ামী সমর্থিত চেয়ারম্যান কারাগারে

আওয়ামী লীগ সমর্থিত যশোর সদর উপজেলার হৈবতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু সিদ্দিককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজাহারুল ইসলাম।

Advertisement

বুধবার (২৮ মে) বিকেলে ৩০ দিনের জন্য ডিটেনশন দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৭ মে) গভীর রাতে হৈবতপুর এলাকা তাকে গ্রেফতার করে যশোর পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। আটক মো. আবু সিদ্দিক ছোট হৈবতপুরের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সই করা ডিটেনশন নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, আবু সিদ্দিক যশোর জেলা আওয়ামী লীগের কট্টর সদস্য। তিনি যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ কাজী নাবিল ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের ঘনিষ্ট সহচর।

Advertisement

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের শেখ হাসিনার রাষ্ট্র ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর ক্ষমতায় আসে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকে আবু সিদ্দিক তার মোবাইলের মাধ্যমে শেখ হাসিনার অনলাইনের বক্তব্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, টেলিগ্রাম গ্রুপ, ইউটিউব চ্যানেল এবং জুম প্লাটফর্মে ভিডিও বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে বর্তমান সরকারকে উৎখাত করে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে পুনরায় ক্ষমতায় বসানের পরিকল্পনায় সচেষ্ট রয়েছে।

ডিটেনশন নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়, ছাত্রলীগ-যুবলীগের কতিপয় সদস্য নিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় কখনো প্রকাশ্যে কখনো ছদ্মবেশে ও আত্মগোপনে থেকে রাষ্ট্রের নিরাপত্তাজনিত তথা জনশৃঙ্খলা পরিপন্থি ক্ষতিকর কার্য পরিচালনা করছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়, আবু সিদ্দিক রেললাইন বিচ্ছিন্ন করে রেল যোগাযোগ বন্ধ, সড়ক অবরোধ করে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও শ্রমজীবী এবং কৃষিজীবী সাধারণ মানুষদের উস্কানির মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল।

এছাড়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উস্কানিসহ বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ঘৃণাবোধ সৃষ্টি, এমনকি জনসাধারণের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির লক্ষ্যে ধ্বংসাত্মক কাজ করার অভিপ্রায়ে তার কর্মী বাহিনীকে নিয়ে গোপন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ কারণে রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ক্ষতিকর কার্যকলাপ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য আবু সিদ্দিককে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৫৪ ধারায় তাকে আটক করা হয়। তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর ৩(২) ধারা মোতাবেক ডিটেনশনের (আটকাদেশের) জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করা হয়।

Advertisement

ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজাহারুল ইসলাম আবেদনটি মঞ্জুর করে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মিলন রহমান/জেডএইচ/জেআইএম