দেশজুড়ে

বগুড়ায় বৃষ্টিতে মাঠেই পচছে কাটা ধান

বগুড়ায় বৃষ্টিতে মাঠেই পচছে কাটা ধান

বগুড়ার আদমদীঘিতে পচে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের কাটা ধান। কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে মাঠে কেটে রাখা পাকা ধান মাঠেই পচতে বসেছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

Advertisement

উপজেলার ছয় ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভায় এবার আবাদ হয়েছে জিরাশাইল, সরু জাতের জিরাশাইল, সুবর্ণলতা, কলমিলতা ও কাটারিসহ দেশি জাতের ধানের চাষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কাটা ধান জমির অ্যাইলে পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে রেখেছেন। আবার কেই রাস্তার পাশে তুলেছেন তাদের স্বপ্নের ফসল। ধান শুকনো রাখতে তালপাতা, বস্তার তৈরি চটি বা তারপুলিন ব্যবহার করেছেন অনেকে। আবার অনেক কৃষক ধান মাড়াই করেছেন কিন্তু শুকাতে পারছেন না।

ফরিদুল ইসলাম নামের এক কৃষক বলেন, ধান শুকাতে না পারলে বিক্রি বা সিদ্ধ কোনটাই সম্ভব হবে না। কাঁচা ধানে দু-তিনদিনের মধ্যে চারা গজাচ্ছে। আর এসব ধানের (চাল) ভাত খাওয়া যাবেনা। দুর্গন্ধ ছড়াবে।

Advertisement

ভুক্তভোগী অনেক কৃষক ইদ্রিস আলম জানান, মূলত ওইসব জমিতে আমন ধান কাটার পর সরিষা ও আলুর আবাদ করা হয়েছিল। এ কারণে কিছুটা দেরি হয়েছিল বোরো ধান রোপণ করতে। আবার অনেকে কাটারি ধান রোপণ করেছিল। এ জাতের ধান পাকতে ও কাটতে বেশি সময়ের প্রয়োজন পরে। ফলে অনেক কৃষকই ধান কাটতে ও ঘরে তুলতে পারেনি। আর এদিকে জ্যৈষ্ঠের প্রথম থেকেই টানা বৃষ্টিতে ধান কাটায় বাগড়া পরে। পাকা ধান ঘরে তুলতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পরেছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে মোট ১২ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম বেশি পাওয়ায় সন্তুষ্ট এ অঞ্চলের কৃষকরা। অনেক কৃষকই জমিতে দেরিতে ধান রোপণ করেছেন। এজন্য অনেক জমির ধান এখনো ঘরে উঠেনি।

এলবি/আরএইচ/এএসএম

Advertisement