পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে রাজধানীর নয়াপল্টনে শুরু হয়েছে বিএনপির ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক সমাবেশ।
Advertisement
বুধবার (২৮ মে) বিকেল পৌনে চারটায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ইরানের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হাফেজ বশির আহমদ।
এ সমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপির তিন প্রধান অঙ্গসংগঠন- জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। সভাপতিত্ব করছেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। সঞ্চালনা করছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।
সমাবেশ শুরুর আগে প্রায় দুই ঘণ্টা চলে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। গান ও কবিতার মধ্য দিয়ে কর্মীদের উজ্জীবিত রাখা হয়। এছাড়া সংগঠনগুলোর নারী নেত্রীদের অংশগ্রহণে ছিল সংগীত পরিবেশনা।
Advertisement
আরও পড়ুন
নয়াপল্টনে তারুণ্যের সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল যে দল মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হবে তাদের ভবিষ্যৎ নেইসমাবেশ উপলক্ষে নয়াপল্টনে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। মঞ্চের পাশে ধানের শীষ প্রতীক ও দলীয় থিমে সাজানো বিভিন্ন ভাস্কর্য নজর কেড়েছে সবার। গতকাল মঙ্গলবার রাতেই মঞ্চ নির্মাণের কাজ শেষ হয়।
আজ বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কর্মীদের আগমন শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনসমুদ্রে পরিণত হয় নয়াপল্টন। রাজধানীর কাকরাইল, প্রেস ক্লাব, দৈনিক বাংলা মোড়, মতিঝিল, ফকিরাপুল, শাহজাহানপুর, কমলাপুর, মালিবাগ ও শান্তিনগর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে নেতাকর্মীদের ঢল।
ঢাকা, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের হাজার হাজার নেতাকর্মী এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। তাদের হাতে হাতে ব্যানার, ফেস্টুন, দলীয় পতাকা। অনেকেই লাল, সবুজ ও হলুদ রঙের ক্যাপ পরে নেচে-গেয়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে তোলেন সমাবেশস্থল।
Advertisement
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে রয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
সমাবেশ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারি রয়েছে। নয়াপল্টনের উভয় পাশের সড়কে যান চলাচল সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে আশপাশের এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে যানজট। তবে তা সত্ত্বেও কর্মীদের আগমন থামেনি।
কেএইচ/কেএসআর/এমএস