ছয় ধরনের গবাদিপশু দিয়ে কোরবানি করা যায়। উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। খাওয়া হালাল এমন যে কোনো পশু দিয়ে কোরবানি করা যায় না। যেমন হরিণ খাওয়া হালাল হলেও হরিণ দিয়ে কোরবানি করা যায় না।
Advertisement
ছাগল, ভেড়া, দুম্বা এ তিন পশু একজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করা যায়। উট, গরু ও মহিষ এ তিন পশু কোরবানিতে সর্বোচ্চ সাতজন শরিক হতে পারে। অর্থাৎ একজন, দুজন, তিনজন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সাতজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে একটি পশু কোরবানি যথেষ্ট হতে পারে।
জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُهِلِّينَ بِالْحَجِّ فَأَمَرَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَشْتَرِكَ فِي الْإِبِلِ وَالْبَقَرِ كُلُّ سَبْعَةٍ مِنَّا فِي بَدَنَةٍ
Advertisement
আমরা আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাথে হজের ইহরাম বেঁধে রওয়ানা হলাম। তিনি উট ও গরু কোরবানির জন্য সাতজন করে শরিক হওয়ার নির্দেশ দিলেন। (সহিহ মুসলিম: ১৩১৮, ৩০৪৯) শরিকানায় কোরবানির ক্ষেত্রে যদি কেউ কোরবানি করার জন্য একটা গরু বা মহিষ কেনে এবং মনে মনে ইচ্ছা রাখে পরে আরো লোককে অংশীদার করবে, পরবর্তীতে আরও কয়েকজনকে ওই পশুতে শরিক করে, তাতে কোনো সমস্যা নেই। এটা জায়েজ, মাকরুহ বা অপছন্দনীয় নয়।
কেউ যদি পুরো গরু একা কোরবানি করার নিয়তে ক্রয় করে, আর সে ধনী হয়, তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয়, তাহলে তার জন্য ওই পশু একা কোরবানি করাই উত্তম, অন্যদের শরিক করা মাকরুহ। এরপরও অন্যদের শরিক করলে তার ও অন্যদের কোরবানি আদায় হয়ে যাবে। তবে এ রকম ক্ষেত্রে অর্থাৎ ধনী ব্যক্তি একা কোরবানি করার নিয়তে পশু কেনার পর অন্যদের শরিক করলে তার জন্য ওই শরিকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থ সদকা করে দেওয়া উত্তম।
আর কোরবানি ওয়াজিব নয় এমন কোনো ব্যক্তি যদি একা কোরবানি করার নিয়তে কোনো পশু কেনে, তাহলে সে ওই পশুতে নতুন করে কাউকে অংশীদার করতে পারবে না। ওই পশুটি তাকে এককভাবেই কোরবানি করতে হবে।
একটি গরু বা মহিষ কোরবানিতে সাত ব্যক্তির শরিক হওয়া জরুরি?
Advertisement
একটি গরু কোরবানিতে সাত শরিক থাকা বা সাতটি নাম থাকা জরুরি নয়। এক গরু এক নামেও কোরবানি করা যায়। দুই, তিন, চার বা পাঁচ নামেও কোরবানি করা যায়। এ রকম ক্ষেত্রে যে কয়জন শরিক থাকবে, সবাই ওই পশু কেনায় সমান অর্থ দেবে এবং মাংসও সমানভাবে ভাগ করে নেবে।
অনেকে মনে করেন, একটি গরু কোরবানিতে সাতজন শরিক থাকা বা সাতটি নাম থাকা জরুরি। এ ধারণা সঠিক নয়। সর্বোচ্চ সাতজন পর্যন্ত শরিক থাকার সুযোগ রাখা হয়েছে, সাত নাম বা সাত শরিক রাখা আবশ্যক করা হয়নি।
ওএফএফ/এমএস