খেলাধুলা

‘শিশুর মতো কেঁদেছিলেন’, রিশাদের মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন টম কারেন

‘শিশুর মতো কেঁদেছিলেন’, রিশাদের মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন টম কারেন

ভারতের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনা শুরু হলে পিএসএল (পাকিস্তান সুপার লিগ) খেলতে যাওয়া বিদেশি ক্রিকেটাররা পাকিস্তান ছাড়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। ওই সময় অনেকে আগেভাগেই বিমানবন্দরগুলোতে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। যদিও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডই (পিসিবি) তাদেরকে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল।

Advertisement

যখন পিসিবি বাংলাদেশি দুই ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানাসহ সব বিদেশিদের আরব আমিরাতে সরিয়ে নিলেন, তখন দুবাই বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সার্বিক অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে রিশাদ জানান, লাহোর কালান্দার্সে তার সতীর্থ ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার টম কারেন এতটাই ভয় পেয়েছিলেন যে, শিশুর মতো কেঁদেছিলেন।

এতদিন বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা হলেও কোনো কথা বলেননি কারেন। অবশেষে মুখ খুললেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে লিখেছেন, ‘বাই দ্য ওয়ে। কথা দিচ্ছি, আমি কাঁদি নাই; আমি প্রস্তুত (কাঁদার জন্য) ছিলাম’.... (হাসির ইমোজি)।

দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পর পুনরায় আইপিএল ও পিএসএল শুরু হওয়ায় স্বস্তি অনুভব করছেন বলে জানান কারেন।

Advertisement

কারেন আরও লেখেন, ‘টুর্নামেন্টগুলো আবার শুরু হচ্ছে দেখে ভালো লাগছে। আমি প্রার্থনা করি, এই দুই বিশেষ দেশের মধ্যে শান্তি বজায় থাকুক।’

এর আগে রিশাদ বাংলাদেশি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ও (টম কারেন) এয়ারপোর্টে গিয়েছিল, কিন্তু শুনেছিল এয়ারপোর্ট বন্ধ। তখন সে ছোট শিশুর মতো কাঁদতে শুরু করে, দুই-তিনজন মিলে তাকে সামলাতে হয়েছিল। আর মিচেল (ড্যারিল মিচেল) সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিল, এমন পরিস্থিতিতে আর পাকিস্তানে যাবেন না।’

তবে পরে রিশাদ তার মন্তব্যের জন্য কারেন ও মিচেলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

ফেসুবকে এক পোস্টে রিশাদ লেখেন, ‘আমি জানি আমার সাম্প্রতিক একটি মন্তব্য বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে এবং এটি গণমাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, যার ফলে একটি ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ প্রেক্ষাপট ছাড়াই বলা হয়েছিল এবং আবেগের মাত্রা অনিচ্ছাকৃতভাবে অতিরঞ্জিত হয়েছিল।’

Advertisement

‘এই ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি ড্যারিল মিচেল এবং টম কারেনের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছি’- যোগ করেছিলেন রিশাদ।

এমএইচ/জেআইএম