চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় তাকে কারাগারে নেওয়া হয়।
Advertisement
রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে থাইল্যান্ড পালানোর পথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
একই সঙ্গে এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থি অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
Advertisement
তার আগে গত দুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘চাঁদা না দিলে ফ্যাক্টরি পুড়িয়ে দেওয়া হবে’ রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর এ সংক্রান্ত একটি অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে। ওই অডিও ক্লিপে আজাদ হোসেন নামের নারায়ণগঞ্জের এক ব্যবসায়ীকে চাঁদার জন্য রীতিমতো হুমকি দিতে শোনা যায় রিয়াদকে।
তবে রিয়াদ আটকের পর আজাদ হোসেন মামলা করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, রিয়াদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। তিনি আমার আত্মীয়।
পরে চাঁদাবাজির ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় এসআই শামীম হোসেন মামলা করেন। মামলায় রিয়াদকে এক নম্বর আসামি করা হয়। সেই সঙ্গে তাকে সন্ধ্যায় ডিবি অফিস থেকে প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে পাঠানো হয়। আগামী শনিবার আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, আদালতের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। শনিবার শুনানি হবে।
Advertisement
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ ছিল। তিনি মূলত এ ঘটনায় আটকের ভয়ে থাইল্যান্ডে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন এয়ারপোর্ট থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/জেডএইচ/জিকেএস