একই ধরনের খেলার একাধিক ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন আছে দেশে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মুড়ি-মুড়কির মতো ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন অনুমোদন দিয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
Advertisement
দেশে অপ্রচলিত কিছু খেলারও ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন খুলে বসেছিলেন অনেকে। তৎকালীন মন্ত্রী, এমপি ও সরকার দলীয় নেতাদের চাপেই সেইসব ফেডারেশনের অনুমোদন দিয়েছিল এনএসসি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সিংহভাগ ফেডারেশনের কমিটি নতুন করে গঠন করা হয়েছে। সংস্কারের ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তিনটি অ্যাসোসিয়েশন বিলুপ্ত করেছে।
বাংলাদেশ ঘুড়ি অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ প্যারা আরচারি অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ খিউকুশিন কারাতে অ্যাসোসিয়েশন অন্য ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের সাথে একীভূত করেছে।
Advertisement
ঘুড়ি অ্যাসোসিয়েশনকে একীভূত করা হয়েছে বাংলাদেশ কান্ট্রি গেমস অ্যাসোসিয়েশনের সাথে, প্যারা আরচারি অ্যাসোসিয়েশনকে একীভূত করা হয়েছে বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশনের সাথে এবং খিউকুশিন কারাতে অ্যাসোসিয়েশনকে বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের সাথে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম বলেছেন, সার্চ কমিটি থেকে আমরা এই তিনটি অ্যাসোসিয়েশনকে অন্য ফেডারেশনের সাথে একীভূতির প্রস্তাব পেয়েছিলাম। সেই তিনটিই বিলুপ্ত করা হয়েছে। এই আদেশের মাধ্যমে ঘুড়ি, প্যারা আরচারি ও খিউকুশিনের বিদ্যমান নির্বাহী কমিটিও আর নেই। দেশে ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের সংখ্যা ছিল ৫৫। এখন তিনটি কমে হলো ৫২।
আরআই/এমএমআর/জিকেএস
Advertisement