দেশজুড়ে

সেতুতে উঠতে লাগে মই

সেতুতে উঠতে লাগে মই

সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে দেড় কোটি টাকা। দুই পাশে সংযোগ সড়ক ছাড়াই এটি দাঁড়িয়ে আছে। ফলে মই দিয়ে সেতুর ওপরে উঠতে-নামতে হয়। যা রীতিমতো ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কয়েক হাজার মানুষের।

Advertisement

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশে সেতু নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের দুই বছর পার হলেও দুই পাশে সংযোগ সড়ক হয়নি।

এলাকাবাসী জানান, এই সেতু দিয়ে তিন গ্রামের মানুষ চলাচল করেন। প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এরমধ্যে অনেকেই রোগী। যারা গালুয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে চান।

এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুর কাজ শুরু হয়। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে।

Advertisement

তবে স্থানীয়দের দাবি, প্রকৃতপক্ষে কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে। এরপর সংযোগ সড়ক না করেই মূল সেতুর কাজ শেষ করে চলে যায় ঠিকাদার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই প্রকল্পের ঠিকাদার ছিলেন ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন। তিনি বর্তমানে অস্ত্র মামলায় ১৪ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে। এ অবস্থায় প্রকল্পের অসমাপ্ত অংশ কীভাবে সম্পন্ন হবে, তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন এলাকাবাসী।

গালুয়া এলাকার আমিনুল ইসলাম বলেন, সেতু থাকলেও দুই বছর ধরে আমরা মই বেয়ে সেতু পার হচ্ছি। রোগী, স্কুল শিক্ষার্থীরা সবাই কষ্ট পাচ্ছে।

একই এলাকার আবদুর রাজ্জাক বলেন, রোগী নিয়ে মই বেয়ে সেতু পার হতে হয়। গাড়ি তো দূরের কথা, অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত যেতে পারে না স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। আমরা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাই।

Advertisement

স্থানীয় যুবক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদার যেহেতু কারাগারে তাই পুনরায় দরপত্র আহ্বান করে সংযোগ সড়ক নির্মাণের ব্যবস্থা করা হোক।

এ বিষয়ে রাজাপুর উপজেলা প্রকৌশলী অভিজিৎ মজুমদার বলেন, সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য দ্রুত পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হবে। আগামী দেড় মাসের মধ্যে কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।

ঝালকাঠি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম সরকার বলেন, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে।

মো. আতিকুর রহমান/জেডএইচ/জিকেএস