জাতীয়

অনলাইনে মাসে ৫ লাখ নামজারি মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে: ভূমি সচিব

অনলাইনে মাসে ৫ লাখ নামজারি মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে: ভূমি সচিব

অনলাইন ব্যবস্থায় প্রতি মাসে প্রায় পাঁচ লাখ নামজারি মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২২ মে) ভূমিসেবা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র সচিব এ তথ্য জানাান।

দেশব্যাপী ভূমি উন্নয়ন কর শতভাগ অনলাইনে আদায় করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভূমিসেবার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস)। তথা পেমেন্ট গেটওয়েসহ অর্থ বিভাগের এ-চালান সিস্টেমের ফলে নাগরিকের অনলাইন সিস্টেমে পরিশোধিত ফি তাৎক্ষণিকভাবে সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে। পুরোপুরি অনলাইন হওয়ার ফলে ভূমিসেবা থেকে রাজস্ব আয় বহুগুণে বেড়েছে। ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের সঙ্গে সঙ্গে নাগরিকরা তাৎক্ষণিকভাবে অনলাইনে কিউআর কোডসমৃদ্ধ একটি দাখিলা প্রাপ্ত হচ্ছেন, যা সর্বত্র গ্রহণযোগ্য। সারাদেশের অনলাইনে আদায়কৃত ফি সরাসরি ড্যাশবোর্ডে প্রদর্শিত হচ্ছে। অচিরেই বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের জন্য ড্যাশবোর্ড চালু করা হবে।

সিনিয়র সচিব বলেন, বর্তমানে অনলাইনে প্রতি মাসে প্রায় ৫ লাখ নামজারি মামলা নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। তিনটি পার্বত্য জেলা ছাড়া সারাদেশের মোট ৫১৬টি উপজেলা ও সার্কেল ভূমি অফিস এবং ৩ হাজার ৪৬৭টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ই-নামজারি চালু হয়েছে। নামজারি সাত থেকে ২৮ কর্মদিবসের মধ্যে সম্পন্ন করা হচ্ছে।

Advertisement

২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ১৫ মে পর্যন্ত নামজারি সিস্টেম থেকে অনলাইনে প্রায় ২৯০ কোটি ২২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ভূমি উন্নয়ন কর থেকে প্রতিদিন ৩-৪ লাখ টাকা এবং অনলাইন খতিয়ান থেকে প্রতিমাসে গড়ে ৩ লাখ ২১ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র সচিব।

বর্তমানে ৬ কোটি ৫০ লাখের বেশি খতিয়ান অনলাইনে রয়েছে জানিয়ে সালেহ আহমেদ বলেন, মর্টগেজ জমির ডেটাবেজ, ওয়ারিশান সিস্টেম, অনলাইন শুনানি, অনলাইন খতিয়ান সিস্টেমের সঙ্গে ই-নামজারি সিস্টেমের আন্তঃসংযোগ স্থাপিত হয়েছে। এরইমধ্যে অনলাইন সিস্টেমে রাজস্ব মামলা পরিচালনা শুরু হয়েছে, মামলার ডেটা ব্যাংক তৈরি করা হয়েছে এবং জেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত প্রায় ৫ কোটি ৭০ লাখ হোল্ডিং ডেটা ম্যানুয়াল থেকে ডিজিটালে রূপান্তরিত হয়েছে। নাগরিককে অনলাইনে দাখিলা দেওয়া হয়েছে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ। প্রতিদিন সার্ভরসহ অন্যান্য ব্যবস্থা সচল থাকলে দিনে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা ভূমি উন্নয়ন কর আদয় করা সম্ভব।

ভূমি সচিব বলেন, সাধারণ নাগরিকদের অনলাইন সেবা সহায়তার জন্য ঢাকা জেলায় ল্যান্ড সার্ভিস সেন্টারের (এলএসএফসি) মাধ্যমে নাগরিকদের ভূমিসেবা দিতে এজেন্ট নিয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগে শীগগির এ কার্যক্রম শুরু করা হবে।

Advertisement

ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতায় সমগ্র বাংলাদেশের এক লাখ ১২ হাজার ৩৮ টি ম্যাপকে ডিজিটাইজ করাসহ স্যাটেলাইট ইমেজ কেনা হচ্ছে। এই ম্যাপের ওপরে স্যাটেলাইট ইমেজ বসিয়ে প্লটভিত্তিক জমির শ্রেণির একটি তথ্যভান্ডার তৈরি হচ্ছে বলেও জানান সিনিয়র সচিব।

আরএমএম/এএমএ/এমএফএ