আন্তর্জাতিক

বন্ধ পেট্রাপোল স্থলবন্দরের ইন্টারনেট, সমাধানে অর্থমন্ত্রীকে চিঠি

বন্ধ পেট্রাপোল স্থলবন্দরের ইন্টারনেট, সমাধানে অর্থমন্ত্রীকে চিঠি

অচল হয়ে পড়েছে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পেট্রাপোল স্থলবন্দরের শুল্ক দপ্তরের সার্ভার। বেশ কয়েকদিন ধরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় দেশটির বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোলে ব্যবসার ক্ষতির আশঙ্কায় ভুগছেন ভারতীয় রপ্তানিকারকরা। তাছাড়া এই স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে নৃত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য রপ্তানি কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ধাক্কা লেগেছে পণ্য আমদানিতেও।

Advertisement

সমস্যা সমাধানে দ্রুত হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে ই-মেইল করেছে আমদানি-রপ্তানিকারী প্রতিনিধিদের সংগঠন ‘পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পেট্রাপোল স্থলবন্দর ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ভারতের বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোল বন্দর। ভারত-বাংলাদেশের এই স্থলবন্দরে বাণিজ্যের কাজ প্রায় পুরোটাই ইন্টারনেট নির্ভর।

‘গত মাসের ২৮ এপ্রিল থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ আছে। ফলে পুরো সিস্টেমটাই অচল হয়ে পড়েছে। আমদানি এবং রপ্তানি পুরোটাই এর উপর নির্ভরশীল। এখন ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কোনো কাজ হয় না। আগে এই ধরনের পরিষেবা বন্ধ হলে কিছুক্ষণের মধ্যে আবার চালু হয়ে যেত। কিন্তু এই প্রথম দেখলাম, টানা ছয়-সাত দিন ধরে পরিষেবা বন্ধ রয়েছে।কোন আধিকারিকেরা খুঁজে পাচ্ছে না কি কারনে পরিষেবা বন্ধ হল। এবং এখনও পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়নি।’

Advertisement

কার্তিক চক্রবর্তী আরও বলেন, কেন ইন্টারনেট সংযোগ ফিরছে না, তার সদুত্তর মিলছে না। দুই দেশের বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই গত রোববার (৪ মে) আমরা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারামনকে ই-মেইলের মধ্যে সবকিছু জানিয়েছি। তারপরেই সরকারের নড়াচড়া শুরু হয়েছে।

কার্তিক চক্রবর্তী এও জানিয়েছেন, কিছু কাজ ট্যাবের এর মাধ্যমে করা হয়েছে। কিন্তু দেশের মধ্যে বৃহত্তম স্থলবন্দর এই কাজ যথেষ্ট নয়। এর ফলে আমদানি-রপ্তানি তলানিতে ঠেকেছে। যেখানে ৫৫০ জায়গায় এক্সপোর্ট ৫০ নেমে গেছে। কোটি-কোটি রুপির ক্ষতি হচ্ছে। বর্তমানে ৯৫০ গাড়ি সীমান্তে দাঁড়িয়ে আছে। খুব শিগগির ইন্টারনেট পরিষেবা চালু না হলে হয়তো ব্যবসা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

পেট্রাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, পণ্যবাহী ট্রাক বর্ডারে কয়েক দিন দাঁড়িয়ে থাকলে পণ্যের ক্ষতি হয়। এতে ক্ষতি হয় দুই দেশের ব্যবসায়ীদের। নির্দিষ্ট সময়ের পরও দাঁড়িয়ে থাকার জন্য অতিরিক্ত রুপি (ডিটেনশন চার্জ) দিতে হয়। ঠিক সময় পণ্য বাংলাদেশে পাঠাতে না পারলে, সেখান থেকে টাকা পেতেও সমস্যা হয়। আর একদিন বাণিজ্যের ধাক্কা মানে কয়েক কোটি রুপির ক্ষতি হয়।

ডিডি/এসএএইচ

Advertisement