দেশজুড়ে

৬ দিনের ‌‘কলম বিরতি’র পর ফের সচল বেনাপোল কাস্টমস হাউস

৬ দিনের ‌‘কলম বিরতি’র পর ফের সচল বেনাপোল কাস্টমস হাউস

এনবিআরকে দু’ভাগে বিভক্ত করার প্রতিবাদে টানা ৬ দিন কাস্টমস কর্মকর্তাদের ‘কলম বিরতি’র পর ফের কাজ শুরু হয়েছে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে। এর ফলে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে বেনাপোল বন্দরে। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন ব্যবসায়ীরা। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ কাস্টমসে এ ‘কলম বিরতি’র ডাক দেয়।

Advertisement

প্রথম দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত ‘কলম বিরতি’ চলে। বাকি দিনগুলো তিনটা পর্যন্ত ‘কলম বিরতি’ পালিত হয়। এর মধ্যে ১৬ মে সাপ্তাহিক ছুটি ছিল। ২০ মে পুরোপুরি কাজ চলে কিন্তু বুধবার (২১ মে) পূর্ণদিবস কলম বিরতি পালন করেন কর্মকর্তারা। ‘কলম বিরতি’তে আমদানি-রপ্তানিসহ মালামাল শুল্কায়ন ও খালাস প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।

এদিকে বুধবার (২১ মে) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় রাজস্ব ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ জানায়, বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের দাবিসমূহের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হবে। ওইদিন এনবিআর এবং ঢাকা ও ঢাকার বাইরে স্ব-স্ব দপ্তরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। তবে, রপ্তানি ও আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এর আওতামুক্ত থাকবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার কোন নির্দেশনা না দিয়ে সকাল থেকে কাজে যোগ দেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। বুধবার রাতে কাস্টমসের এক কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কাজ হবে বলে জানান বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতাকে। এরপর বিষয়টি সব সদস্য ও কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের জানালে তারা সকাল থেকে কাস্টমস হাউসে আসেন।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কাস্টমস হাউস, বন্দর ও আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে কাজে যোগ দেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। পণ্যের পরীক্ষণ ও শুল্কায়নের কাজ শুরু হওয়ায় সকাল থেকে কাস্টম ও বন্দরে ভিড় দেখা যায়।

Advertisement

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, কয়েকদিনের কাজ সবাই গুছিয়ে নেন আগে ভাগে। ১৪ থেকে ২১ মে পর্যন্ত টানা ৬ দিন ‘কলম বিরতি’ পালন করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, ৭টি পণ্য রপ্তানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর যেসব পণ্যবাহী ট্রাক গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে এসেছিল তারা উপায়ন্তর না পেয়ে মালামাল নিয়ে ঢাকায় ফিরে যাচ্ছে। এসব রপ্তানিকারকের পক্ষে সংশ্লিষ্ট সিএন্ডএফ এজেন্ট বেনাপোল বন্দরের কাছে আবেদনের মাধ্যমে ট্রাকগুলো ফেরত নিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় কাস্টমসের পক্ষ থেকে সে দেশের ব্যবসায়ীদের কোন রকম আশ্বস্ত করতে পারেনি বলে জানান এপারের রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী ও সিএন্ডএফ এজেন্ট।

প্রতিদিন পেট্রাপোল বন্দর থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ ট্রাক আসে বেনাপোল বন্দরে। আর বেনাপোল দিয়ে ২০০ থেকে ২৫০ ট্রাক রপ্তানি পণ্য নিয়ে যায় ভারতে। দেশের ৭৫ ভাগ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাঁচামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে।মো. জামাল হোসেন/জেএইচ

 

Advertisement