জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে আল্লাহ কুদরতি হাতে বাঁচিয়ে রেখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তার আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির।তিনি বলেন, সরকার একটু সময় পেলে ওনাকে ফাঁসি দিতো। তিনি বেঁচে না থাকলে হয়তো আর আপনাদের কাছে আসতে পারতাম না।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চে মৃত্যু-দণ্ডপ্রাপ্ত এটিএম আজহারুল ইসলামের খালাস চেয়ে করা আপিল আবেদনের শুনানিতে এমন কথা বলেন তিনি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে এটিএম আজহারুল ইসলামের খালাস চেয়ে করা আপিলের ওপর রায় ঘোষণার জন্য ২৭ মে দিন ঠিক করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রসিকিউশন, রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি উভয়ের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চ রায়ের এ দিন ঠিক করে আদেশ দেন।
Advertisement
আদালত আজ এটিএম আজহারের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনিক আর হক। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ। আর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে প্রসিকিউটর গাজি এমএইচ তামিম শুনানি করেন।
এসময় জামায়াত নেতা আজহারের পক্ষে শুনানিতে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনিরকে সহযোগিতা করছেন অ্যাডভোকেট রায়হান উদ্দিন, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন ও অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে করা আজহারের আবেদনের রায় ২৭ মে এটিএম আজহারের পক্ষে শুনানি শেষ, ন্যায়বিচার চাইলেন আইনজীবী আজহারুলের মৃত্যুদণ্ড বহাল : পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশআদালতে এদিন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেনসহ জামায়াত নেতারা উপস্থিত আছেন।
আপিল শুনানিতে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার ছিল সাজানো ও পূর্বপরিকল্পিত।ট্রাইব্যুনালের আইন ও আদালতের সৃষ্টি হয়েছিল অসৎ উদ্দেশ্য। বিচারের নামে অবিচার করে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার লেখা ব্রোকেন ড্রিম বইয়ে এ ঘটনার সত্যতা উঠে এসেছে।
Advertisement
এটিএম আজহার প্রসঙ্গে শুনানিতে শিশির মনির বলেন, আরও সময় পেলে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার আজহারুল ইসলামের ফাঁসি কার্যকর করতো। মহান আল্লাহ কুদরতি হাতে তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।
পরে আইনজীবী শিশির মনির আজহারের পক্ষে শুনানি শেষ করেন। তাকে সহযোগিতা করন অ্যাডভোকেট রায়হান উদ্দিন, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।
এসময় আদালতে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিনসহ জামায়াত নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এফএইচ/এমএএইচ/জিকেএস